/ 
প্রিন্ট করুন
ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: রাশিয়ার হামলার মোকাবেলা করতে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা সরবরাহে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু, নির্বাচনের বছরে বিরোধী রিপাবলিকান দলের সাথে রাজনৈতিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে তার বিরুদ্ধে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেই অভ্যন্তরীণ জটিলতার জের ধরে ইউক্রেনের জন্য ছয় হাজার কোটি ডলার অঙ্কের সহায়তা প্যাকেজ সংসদে আটকে রয়েছে। মোট নয় হাজার ৫০০ কোটি ডলার অঙ্কের বৈদেশিক সহায়তা বিলে ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। রিপাবলিকান দল মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে আরো কড়া আইনের দাবিতে সেই প্রস্তাবের পথে বাধা সৃষ্টি করে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাইডেন প্রশাসনের সেই প্রস্তাব একটি প্রক্রিয়াগত বাধা দূর করল। ফলে, চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি ডেমোক্র্যাট দলের সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে সেটি অনুমোদিত হবে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু, নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে শেষ পর্যন্ত বিরোধী রিপাবলিকান দলের বাধা দূর করা যাবে কি না, সে ব্যাপারে সংশয় থেকে যাচ্ছে। সেখানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের পাল্লা ভারি। তবে, ন্যাটো সম্পর্কে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জের ধরে রিপাবলিকান দলের আরো সাংসদ বৈদেশিক সহায়তার পথে বাধা দূর করবেন বলে একটা ক্ষীণ আশা দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের আপত্তি সত্বেও রাজনৈতিক ‘দায়িত্বজ্ঞানতা’ দেখানোর চাপে তারা এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন। সিনেটে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এমন মনোভাব দেখা গেছে।
এমন আশঙ্কা সত্ত্বেও রোববারের (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোটের ফলকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, ইউক্রেনের জন্য আরো সহায়তার ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ নেয়া হল। তিনি দিনটিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য খারাপ হিসেবে বর্ণনা করেন।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার হামলার দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তির প্রাক্কালে ইউক্রেন গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জামের তীব্র অভাব বোধ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় বিলম্ব সত্বেও ইউক্রেন শত্রুপক্ষের হামলা মোকাবেলার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাশিয়ার ১৭টি ড্রোন হামলার মধ্যে ১৪টিই বানচাল করা সম্ভব হয়েছে হলে সে দেশ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দাবি করেছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর সূত্র অনুযায়ী, রাশিয়া এস-৩০০ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করেও হামলা চালিয়েছে। তবে, সেই ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ও লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
