ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: ডেমোক্র্যাটিক হোয়াইট হাউসের আশাবাদী কমলা হ্যারিস বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধিত্ব না থাকলে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ব্যাপারে বৈঠক করবেন না। সোমবার (৭ অক্টোবর) সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। সংবাদ এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিবিএস টেলিভিশনের ‘৬০ মিনিট’ অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারে তিনি এ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রাশিয়ার নেতার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হবেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘ইউক্রেন ছাড়া যুদ্ধের ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নয়। ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ইউক্রেনের অবশ্যই একটি বক্তব্য থাকতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এর পূর্বে পুতিনের সাথে কোন ধরনের আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইউক্রেন বিষয়ে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিরও সমালোচনা পুনর্ব্যক্ত করে একে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের কাছে ‘আত্মসমর্পণ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন কমলা।
ট্রাম্প এর পূর্বে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সামরিক ও আর্থিক সহায়তার সমালোচনা করেন এবং জোর দিয়ে বলেন, ‘তিনি পুতিনের সঙ্গে দ্রুত শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারতেন।’
কমলা বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি প্রেসিডেন্ট হতেন, পুতিন এ মুহূর্তে ইউক্রেনে বসে থাকতেন। তিনি যে বলছেন, এটি প্রথম দিনেই তিনি শেষ করতে পারতেন, এর অর্থ হচ্ছে আত্মসমর্পণ।’
কিয়েভ আশঙ্কা করছে যে, এ ধরনের চুক্তিতে রাশিয়াকে পূর্ব ইউক্রেনের অঞ্চল ছেড়ে দেয়া হবে, যে অঞ্চলটি তারা আক্রমণের পর থেকে দখল করে আছে।
এ দিকে, কমলা বলেন, ‘তিনি ন্যাটোর সামরিক জোটে ইউক্রেনের যোগদানের বিষয়ে সময় এলেই আলোচনা
করবেন।’