সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা পাঠানোর যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে বাড়ছে অস্বস্তি

সোমবার, জুলাই ১০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

কিয়েভ, ইউক্রেন: ওয়াশিংটনের ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি মিত্র দেশ অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। শুক্রবার (৭ জুলাই) ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্য, কানাডা ও স্পেন এ অস্ত্র ব্যবহারের বিরোধীতা করেছে। খবর বিবিসির।

এ দিকে, শতাধিক দেশ ক্লাস্টার বোমা নিষিদ্ধ করেছে। কারণ, তা বেসামরিক মানুষের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনে। ক্লাস্টার বোমা বলতে সাধারণত অনেকগুলো ছোট ছোট বোমাকে বোঝায়, যা লক্ষ্যবস্তুতে একসঙ্গে নিক্ষেপ করা হয়। এতে বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানো যায়।

এ যুদ্ধাস্ত্রের ব্যর্থতা, অর্থাৎ বোমা অবিস্ফোরিত থাকার হার নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, অবিস্ফোরিত বোমাগুলো বছরের পর বছর মাটিতে পড়ে থাকতে পারে ও যখন তখন তার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুদ্ধে ইতিমধ্যে রাশিয়া যেগুলো ব্যবহার করছে. তার চেয়ে ইউক্রেনে পাঠানো আমেরিকান ক্লাস্টার বোমাগুলো অনেক কম বার ব্যর্থ হয়েছে।’ তবে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন ‘এটি সামরিক সহায়তার জন্য সময়োপযোগী, বিস্তৃত ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়’।

এছাড়া, বাইডেন শুক্রবার (৭ জুলাই) গণ মাধ্যমকে বলেছেন, তিনি এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে মিত্রদের সাথে কথা বলেছেন। এ ক্লাস্টার বোমাগুলো মূলত ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দামের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের অংশ ছিল এবং এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় লেগেছে। কিন্তু. তিনি শেষ পর্যন্ত এই বোমা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, ইউক্রেনীয়দের গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে।’

এ দিকে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ‘সচারচর ক্লাস্টার বিস্ফোরক সংঘাত শেষ হওয়ার অনেক পরেও বেসামরিক মানুষের জীবনের জন্য বড় ধরনের হুমকির কারণ হয়ে থাকে। শনিবার (৮ই জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পশ্চিমা মিত্র বাইডেনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, ‘ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র বিষয়ক কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী ১২৩টি দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্য একটি, আমরা এ জাতীয় অস্ত্র উৎপাদন বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছি ও অস্ত্রটি ব্যবহার নিরুৎসাহিত করেছি।’

স্পেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্গারিটা রবলেস আরো এক ধাপ এগিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তার দেশের যে এ ধরনের অস্ত্র ও বোমা ইউক্রেনে পাঠানো যাবে না সম্বন্ধে দৃঢ় অবস্থান ছিল।’ তিনি তার দেশের অবস্থান ধরে বলেন, ‘ক্লাস্টার বোমাকে আমরা না করি এবং ইউক্রেনের বৈধ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে হ্যাঁ বলি’।