ইউক্রেন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন ইউক্রেনে সহায়তা কমিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, সামাজিক মাধ্যমে দেয়া পোস্টে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিরসনের বিষয়ে ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। এরমধ্যেই ইউক্রেনজুড়ে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়ার বাহিনী।
হামলা পাল্টা-হামলায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। প্রতিদিনই একে অপরের ওপর হামলা চালাচ্ছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনারা। টানা হামলায় বিধ্বস্ত দেশ দুইটির বিভিন্ন অঞ্চল।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাশিয়ার ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি করেছে ইউক্রেনের বাহিনী। পাল্টা হামলা জারি রেখেছে জেলেনস্কির বাহিনীও। তাদের ছোড়া ১৩টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। একই দিন ইউক্রেনের সামরিক বিমান ঘাঁটিতে হামলার দাবিও করে তারা।
কেবল হামলা করেই থামেনি রাশিয়ার সেনারা। অব্যাহত রেখেছে ইউক্রেনের বসতি দখলও। পূর্ব ইউক্রেনের আরেকটি বসতি দখলের দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা আরও জানায়, ইউক্রেন সীমান্তের প্রায় ২০ শতাংশ এখন রাশিয়ার দখলে।
এ দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়ার এসব হামলা থেকে ইউক্রেনের মানুষকে রক্ষার জন্য ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার আগ পর্যন্ত ইউক্রেনে বিদেশি সেনা মোতায়েন করা যেতে পারে।
কূটনৈতিক সমাধান বহু মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্য দিকে, নতুন মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনে সহায়তা কমাবে বলে গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন নতুন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের একটি পোস্টে রুশ-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিরসনের বিষয়ে ট্রাম্পের প্রশংসা করেন জেলেনস্কি।
পুতিন একমাত্র ট্রাম্পকেই ভয় পান বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি। ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় রাশিয়া যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনায় আগ্রহী বলেও জানায় ক্রেমলিন।
তবে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিবৃতিতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার যোগাযোগ হয়নি এ বিষয়ে।’