/ 
প্রিন্ট করুন
প্যারিস, ফ্রান্স: জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোতে পুনরায় যোগদানের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়াও, যোগদান করে ৬০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বকেয়া পরিশোধেরও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। সোমবার (১২ জুন) ইউনেস্কোর এক সভায় এ তথ্য জানান ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজুলে। খবর আল জাজিরার।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘চীন ইউনেস্কোর নীতিনির্ধারণে, বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তি শিক্ষার মান নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় ইউনেস্কোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা ও সম্পদবিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি রিচার্ড ভার্মা ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের কাছে তাদের পরিকল্পনা জানিয়ে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে রিচার্ড ভার্মা যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় ইউনেস্কোতে যোগদানের বিষয়ে প্রস্তাব দেন। এ প্রস্তাবটি ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে উত্থাপন করা হবে। সেখানে সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রগুলো সমর্থন দিলে তবেই যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় যোগ দিতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইউনেস্কোতে পুনরায় যোগ দিলে সংস্থাটির অর্থনৈতিক খাত বেশ লাভবান হবে। বিশেষ করে সংস্থাটির জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া অর্থ বিশেষভাবে সহায়ক হবে।
২০১১ সালে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয় ইউনেস্কো। সংস্থাটির এমন সিদ্ধান্তে অভিযোগ তোলে ইসরাইল ও তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় থেকেই সংস্থাটিতে অর্থ দেয়া বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। এরপর ২০১৩ সাল থেকে দেশ দুইটি তাদের ভোটাধিকার হারায়।
২০১৭ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। তার সাথে সাথে ইসরাইলও একই সিদ্ধান্ত জানায়। দেশ দুটির অভিযোগ ছিল, ইউনেস্কো ইসরাইল ও ইহুদিবিদ্বেষী। এরপর ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল।
