বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ইমরান খানের গ্রেফতার পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়

রবিবার, আগস্ট ৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানের গ্রেফতার দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

তারা জানায়, ‘ইমরান খান ও অন্যান্য রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’

তারা আরো জানায়, ‘আমরা পুরো বিশ্বের মত পাকিস্তানকেও গণতান্ত্রিক নীতি ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আহ্বান জানাই।’ এছাড়া তারা ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত থাকার দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছে।

শনিবার (৫ আগস্ট) পাকিস্তানের একটি আদালত তোশাখানা মামলায় দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে ইমরান খানতে গ্রেফতার ও তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এই বছরের শেষের দিকে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে দাঁড়ানো থেকে তাকে বাধা দেয়ার পদক্ষেপ এটি।

ফৌজদারি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত যে কেউ পাকিস্তানে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য বলে বিবেচিত হয় এবং দেশটির সংসদ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই ভেঙে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার এই একটি মামলার রায়ে লিখেছেন, ‘তার অসততা সন্দেহাতীতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি অনেক উপহার পেয়েছেন ও সেগুলোর যথাযথ হিসাব দেননি।’

হুমায়ুন দিলাওয়ার বলেন, ‘তিনি (ইমরান খান) ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় কোষাগার থেকে অর্জিত সুবিধাগুলো গোপন করে দুর্নীতির চর্চার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।’

গেল শনিবার ইমরান খানকে পুলিশ গ্রেফতারের আগে খানের একটি ভিডিও বিবৃতিতে তার সমর্থকদের প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমার পাকিস্তানি অনুসারীরা, তারা আমাকে গ্রেফতার করবে এবং এই বার্তাটি আপনাদের কাছে যখন পৌঁছাবে তখন আমি জেলে থাকব। আমার শুধু একটি অনুরোধ এবং আবেদন, আপনি বাড়িতে চুপ করে বসে থাকবেন না।’

ইমরান খান আরো বলেন, ‘এই যুদ্ধ ন্যায়বিচারের জন্য, আপনাদের স্বাধীনতার জন্য…। শিকল এমনিতেই খুলে পড়বে না, এগুলোকে ভেঙে ফেলতে হবে। আপনাদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনারা আপনাদের অধিকার আদায় করে নিতে পারবেন।’