/ 
প্রিন্ট করুন
বাগদাদ, ইরাক: ইরাকের ভূখণ্ডে যে কোন ‘আক্রমণের’ বিরুদ্ধে শনিবার (১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী। তার কার্যালয় জানিয়েছে, মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানীকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ফোন করেছিলেন। সে সময় তিনি এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন। খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের সূত্র জানিয়েছে, গেল ২২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান ইরাকে দুটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর বার বার হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরানপন্থী নয় যোদ্ধাকে হত্যা করে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টা আগে একটি যুদ্ধবিমান ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের গাড়িতে আঘাত করেছে। এর আগে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র বাহিনীর ওপর একটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের মতে, ইরাক ও সিরিয়ায় মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী অন্তত ৭৪ বার হামলার পর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ব্লিনকেনের সাথে ফোনে কথা বলার সময় সুদানী ‘ইরাকি ভূখণ্ডে যে কোন হামলা’ প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে তার কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘ইরাকের সরকার ‘ইরাকে উপস্থিত আন্তর্জাতিক জোট উপদেষ্টাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।’
গেল ২৫ নভেম্বর হিজবুল্লাহ ব্রিগেডের প্রধান বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘গোষ্ঠীটি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ‘যুদ্ধবিরতি শেষ না হওয়া পর্যন্ত’ মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের বিরুদ্ধে ‘অভিযানের তীব্রতা হ্রাস করবে’।
যুক্তরাষ্ট্রও মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বলেছে, ‘যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর কোন হামলা হয়নি।’
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ফের যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
সিরিয়ায় তার বাহিনীর ওপর হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রও ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর পুনরুত্থান রোধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার ও সিরিয়ায় প্রায় ৯০০ সেনা রয়েছে।
