/ 
প্রিন্ট করুন
কিয়েভ, ইউক্রেন: সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে গোলাবারুদের মারাত্মক ঘাটতিতে পড়েছে ইউক্রেন। দেশটির জন্য নয়া সহায়তা আটকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা। কিন্তু, ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে মরিয়া বাইডেন প্রশাসন। এর মধ্যেই জব্দ করা কয়েক হাজার ইরানি অস্ত্র ও পাঁচ লাখেরও বেশি গোলাবারুদ ইউক্রেনে পাঠিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, ‘গেল ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে যে অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়েছে, তা ইউক্রেনীয় একটি ব্রিগেডকে সজ্জিত করার জন্য যথেষ্ট।’
তারা মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিবৃতিতে আরো বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে পাঁচ হাজার একে-৪৭, মেশিনগান, স্নাইপার রাইফেল, আরপিজি-৭ ও পাঁচ লাখ রাউন্ড ৭.৬২ মিলিমিটার গোলাবারুদ হস্তান্তর করেছে। এগুলো ইউক্রেনকে রাশিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে।’
২০২১ সালের মে মাস থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে চারটি ‘রাষ্ট্রবিহীন নৌযান’ থেকে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছিল। সেগুলো ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের কাছে পাঠাচ্ছিল ইরানের বিপ্লবী গার্ডস। ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর বিচার বিভাগের দেওয়ানি বাজেয়াপ্ত দাবির মাধ্যমে এসব অস্ত্রের মালিকানা পায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
বাইডেন ইউক্রেনকে ৬০ বিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু, এ প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন হাউসের রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন। ফলে, প্রস্তাবটি আটকে গেছে। কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সহায়তা না পাওয়ায় ইউক্রেনের বাহিনীর অস্ত্রের সরবরাহ কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে অস্ত্র জোগান দেয়ার নয়া পথ খুঁজে বেড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।
গেল বছরের অক্টোবরের শুরুর দিকেও একইভাবে ইউক্রেনকে ইরানি অস্ত্র দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় প্রায় ১১ লাখ রাউন্ড ৭.৬২ মিলিমিটার গোলাবারুদ সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র।
