ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: ইলন মাস্কের মালিকানাধীন ব্রেইন-চিপ নির্মাণ কোম্পানি নিউরালিংক মানব মস্তিষ্কে চিপ স্থাপন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ ধনী ব্যবসায়ীর কোম্পানিকে এ অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। তারা এফডিএর অনুমোদন হাতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে নিউরালিংক। বিবিসির।
এফডিএর কাছ থেকে প্রথম ইন-হিউম্যান ক্লিনিক্যাল স্টাডি শুরুর অনুমোদন পেয়েছে সংস্থাটি। একইসাথে কম্পিউটারের সাথে মস্তিষ্কের সংযোগ স্থাপন করে মানুষের দৃষ্টিশক্তি ও গতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে চায় সংস্থাটি।
মূলত মোবাইল ও কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে পক্ষাঘাতগ্রস্ততা ও দৃষ্টিহীনতাসহ কিছু নির্দিষ্ট অবস্থা বা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে এমন চিপ তৈরি করতে চায় নিউরালিংক।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) নিউরালিংকের টুইটারে লেখা হয়, ‘এক দিন আমাদের প্রযুক্তি বহু মানুষের উপকারে লাগবে।’ ইতিমধ্যে শূকর ও বানরের মস্তিষ্কে নিউরালিংক ডিভাইস সফলতার সাথে স্থাপন করা হয়েছে। ডিভাইসটি স্থাপন ও অপসারণ সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে দাবি সংস্থাটির।
এর আগেও এফডিএর অনুমোদন চেয়েছিল নিউরালিংক। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে সেবার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ২০১৬ সালে নিউরালিংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘২০২০ সালের মধ্যে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসাতে শুরু করবে তারা।’
২০১৯ সালে ফের বলা হয়েছিল, ‘২০২২ সালের মধ্যে শুরু করবে তারা। কারণ, ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের কোন এক সময়ে নিউরালিংক মানবদেহে চিপ স্থাপন করবে। বলা হচ্ছে, সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরই মাস্কের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে পারে।