মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

ইসরায়েলের কাছে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

শনিবার, জানুয়ারী ৪, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: ইসরায়েলের কাছে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন চেয়ে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। এই অস্ত্র বিক্রি চুক্তি সম্পন্ন করতে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ ও সেনেট কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হবে বলে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা। এসব অস্ত্রের মধ্যে থাকবে জঙ্গি বিমানের যুদ্ধোপকরণ, অ্যাটাক হেলিকপ্টার, কামানের গোলা, ছোট ব্যাসের বোমা ও ওয়ারহেডের মত যুদ্ধাস্ত্র। এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংবাদ অ্যাক্সিওসের।

গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদরতরা দেশটির ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়ে আসলেও যুক্তরাষ্ট্র তার ঘনিষ্ঠ মিত্রকে সমর্থন দেওয়া বজায় রেখেছে। ইসরায়েলের বিষয়ে মার্কিন নীতিও প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।

গেল আগস্টে ইসরায়েলের কাছে যুদ্ধ বিমান ও অন্যন্য সামরিক উপকরণ বিক্রির জন্য দুই হাজার কোটি ডলারের একটি চুক্তি অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন প্রশাসন এসব বিষয়ে যুক্তি দেখিয়ে বলেছে, ‘এসব অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে গাজার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতিদের মত ইরান সমর্থিত ‘জঙ্গি’ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে নিজেদের মিত্রের আত্মরক্ষায় সহায়তা করতে তারা।’

বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখেও ওয়াশিংটন চলতি যুদ্ধে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনি ছিটমহলটির ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আর সেখানে প্রায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ছোট্ট এ ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে, বিভিন্ন মহল থেকে এমন অভিযোগ উঠলেও দেশটি তা অস্বীকার করেছে।

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র ও অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের ওপর ভিটো দিয়ে তা নাকচ করে দিয়েছে।

আগামী ২০ জানুয়ারি ডেমোক্র্যাট বাইডেন হোয়াইট হাউজ থেকে বিদায় নেবেন আর নতুন নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প এ দিনটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। দুই প্রেসিডেন্ট পরস্পর বিরোধী দুই দলের হলেও তারা উভয়ের ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক।