ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: রোববার (২৫ আগস্ট) ভোর থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে শুরু হওয়া তীব্র যুদ্ধ মিসরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে প্রভাবিত করেনি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (২৬ আগস্ট) হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আলোচকদের একটি ‘কার্যকরী পর্যায়ের’ দল সম্ভাব্য (যুদ্ধবিরতি) চুক্তির কৌশলগত দিক নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
গেল মাসে হামাসের সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে খুনের জন্য হিজবুল্লাহর ইসরায়েলের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের সম্ভাবনার সূত্রপাত করে। এছাড়া, সম্প্রতি ইরানের রাজধানী তেহরানে নিহত হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে খুনের প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান। তবে, গাজা যুদ্ধবিরতিকে এ সংঘাত এড়ানো সর্বোত্তম আশা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিচালক জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘(হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ে) কায়রোর আলোচনায় কোন প্রভাব পড়েনি, এটা দেখে আমরা অবশ্যই আনন্দিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি ছাড়াই মিশরে রোববার (২৫ আগস্ট) আলোচনা শেষ হলেও চার দিনের উচ্চ পর্যায়ের এ আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। তবে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে রয়ে যাওয়া কিছু মতপার্থক্য দূর করার লক্ষ্যে নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে সব পক্ষ।
কিরবি বলেন, ‘প্রতিনিধি দলগুলো গাজায় জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে যে বিনিময় প্রস্তাব হবে, তা সমাধানের চেষ্টা করছে।’
গাজার দুইটি কৌশলগত করিডোর- মিশরের সাথে গাজার সীমান্তের ফিলাডেলফি করিডোর এবং পূর্ব-পশ্চিম নেটজারিম করিডোরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপস্থিতি বজায় রাখার জন্য বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোর দেয়ার ব্যাপারেও উভয় পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
কিরবি বলেন, ‘হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্ক সোমবার (২৬ আগস্ট) কায়রোর আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তবে, নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কিছু অমীমাংসিত ব্যাপার নিয়ে কাজ করার লক্ষ্য রাখায় শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
আরো বেশ কিছু দিন এ আলোচনা চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।