ইসলামি ডেস্ক: মানত হল নিজের ওপর কোন ভাল কাজ আবশ্যক করে নেওয়া। মানত একটি ইবাদত। সুতরাং, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে মানত করা যাবে না। অন্যের নামে মানত করলে শিরক হবে।
তাই, মানত শুধু আল্লাহর জন্যই করতে হবে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তারা মানত পূর্ণ করে ও সেদিনের ভয় করে, যে দিনের অনিষ্টতা হবে ব্যাপক।’ (সুরা দাহর, আয়াত: সাত)
এ আয়াতে আল্লাহ মানত পূর্ণকারীদের প্রশংসা করেছেন। আর যেহেতু মানত ইবাদত, সেহেতু কেউ অন্যের নৈকট্য অর্জনের জন্য তা করলে সেটা শিরক হবে।
আল্লাহ বলেন, ‘আর যে কোন বস্তু তোমরা ব্যয় কর না কেন অথবা যে কোন মানত তোমরা গ্রহণ কর না কেন, আল্লাহ নিশ্চয়ই তা অবগত হন। আর অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৭০)
আমরা যেসব টাকা-পয়সা খরচ করি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য যে কোন মানত করি, সবই তিনি জানেন ও এর প্রতিদান দেন। সুতরাং, মানত শুধু তার জন্য হতে হবে।
অন্যের জন্য করা শিরক। আর আল্লাহর জন্য মানত করলে তা পূরণ করতে হবে ও অন্যের জন্য করলে তা পরিত্যাগ করতে হবে। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য করার মানত করে, সে যেন তার আনুগত্য করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যতা করার মানত করে, সে যেন তার অবাধ্যতা না করে।’’ (বুখারি, হাদিস : ৬৭০০)
মূল কথা হল মানত হচ্ছে ইবাদত। আর ইবাদত শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করতে হবে। কোন সৎকাজের মানত করলে তা পূরণ করতে হবে এবং অন্যায় কাজে ও আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে মানত করলে তা পরিত্যাগ করতে হবে। আর মানত ভঙ্গের জন্য কাফফারা আদায় করতে হবে। মানতের কাফফারা কসম ভঙ্গের কাফফারার মত। আর তা হচ্ছে, দশজন মিসকিনকে খাদ্য অথবা বস্ত্র দেয়া অথবা একজন দাস বা দাসী মুক্ত করা। সামর্থ্য না থাকলে তিন দিন সিয়াম পালন করা। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৮৯)