বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

উত্তপ্ত বিতর্কে মুখোমুখি হলেন কমলা ও ট্রাম্প

বুধবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের আগামী ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তপ্ত বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সবকিছু ঠিক থাকলে দেশটিতে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পূর্বে এটিই ছিল উভয়প্রার্থীর প্রথম ও সম্ভবত শেষ বিতর্ক।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে (বাংলাদেশ সময় বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাতটায়) এবিসি নিউজের এ বিতর্কটি পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। টানা ৯০ মিনিটের এ বিতর্ক অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ডেভিড মুইর ও লিনসে ডেভিস। এবিসি নিউজ ছাড়াও বিবিসি, সিএনএন, চ্যানেল ফোরসহ বিভিন্ন সম্প্রচার মাধ্যম বিতর্ক অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে।

বিতর্কে কমলা হ্যারিস ট্রাম্পকে ‘উগ্র’ ও স্বৈরশাসকের দোসর বলে আক্রমণ শানান। উত্তরে ট্রাম্প কমলাকে ‘মার্কসবাদী’ বলে উল্লেখ করেন।

কমলা (৫৯) ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘পুতিন একজন স্বৈরশাসক। তিনি সহজেই আপনাকে গিলে খাবেন।’

ট্রাম্প (৭৮) কমলাকে মার্কসবাদী হিসেবে তুলে ধরে মিথ্যা দাবি করে বলেছেন, ‘কমলা ও বাইডেন কারাগার, মানসিক হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লাখ লাখ লোককে দেশে ঢুকতে দিয়েছেন।’

কমলা ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত অপরাধী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এটি খুবই দুর্ভাগ্য যে, ট্রাম্প তার ক্যারিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে বিভাজিত করার কাজে ব্যবহার করেছেন।’

এ দিকে, বিতর্কে ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেনের জয়কে মেনে নিতে ফের অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে তার জেতার বহু প্রমাণ রয়েছে।’

কমলা বলেছেন, ‘হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মকর্মতারা তাকে মর্যাদাহীন বলে উল্লেখ করেছিলেনন। বিশ্ব নেতারা ট্রাম্পকে নিয়ে হাসাহাসি করেন।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, কমলা হ্যারিস ইসরাইলকে ঘৃণা করেন ও তিনি প্রেসিডেন্ট হলে দুই বছরের মধ্যে ইসরাইল অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। ট্রাম্প আরো দাবি করেন, তিনি নেতৃত্বে থাকলে এ ধরনের যুদ্ধের সূচনা হত না। গাজার চলমান সংকট ও হামাসের হাতে জিম্মি বেসামরিক মানুষদের ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে ট্রাম্প সরাসরি বলেন, ‘তার প্রশাসন কখনোই এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে দিত না।’

ট্রাম্পের এ মন্তব্যের পর কমলা হ্যারিস পাল্টা উত্তরে অবিলম্বে এ যুদ্ধ বন্ধের দাবি ও একইসাথে গাজার পুনর্গঠনের জন্য দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

এছাড়া গর্ভপাত থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ এ বিতর্কে জায়গা করে নেয়।

গেল জুনে ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিপর্যয়ের পর তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। ডেমোক্র্যাট পার্টির কনভেনশনে প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে মনোনয়ন দেয়া হয়। কৃষাঙ্গ ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট।

এ দিকে, মামলায় দোষী সাব্যস্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আর ৫৬ দিন বাকি। এ অবস্থায় বিতর্কে উভয় প্রতিদ্বন্দ্বীর অবস্থানকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।