ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: ঋণ খেলাপি এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা বৃদ্ধিতে সমঝোতায় পৌঁছেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কংগ্রেসের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি। জাতীয় ঋণসীমা বৃদ্ধিতে সমঝোতায় পৌঁছার পর ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন কেভিন ম্যাককার্থি। শনিবার (২৭ মে) বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সমঝোতা চুক্তির ঘোষণা দেন তারা। খবর রয়টার্সের।
এর আগে কয়েক দিন দফায় দফায় বৈঠক করে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হন তারা। অবশেষে, জাতীয় ঋণসীমা বৃদ্ধির নির্ধারিত সময় ৫ জুনের আগেই সমঝোতায় পৌঁছালেন বাইডেন ও ম্যাককার্থি।
চুক্তি অনুযায়ী জাতীয় ঋণসীমা দুই বছরের জন্য বাড়ানো হবে। এ বিষয়ে আগামী বুধবার (৩১ মে) কংগ্রেসে ভোট হবে।
রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের স্পিকার ম্যাকার্থি বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর আমরা নীতিগতভাবে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি।’
এ দিকে, বিবৃতিতে জো বাইডেন বলেন, ‘চুক্তিটি একটি সমঝোতার প্রতিনিধিত্ব করে, যার অর্থ সবাই যা চায় তা পায় না।’ এ সমঝোতাকে তিনি মার্কিন জনগণের জন্য একটি সুসংবাদ হিসেবেও অভিহিত করেন।
তবে আলোচনায় বড় সাফল্য এলেও ম্যাকার্থি সতর্ক করে বলেছেন, ‘বিলটিতে কংগ্রেসের সমর্থন পেতে এখনো অনেক কাজ করতে হবে।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের সীমা ৩১ দশমিক চার ট্রিলিয়ন বা ৩১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার। আগামী পাঁচ জুনের মধ্যে ঋণসীমা বাড়াতে না পারলে খেলাপি হয়ে পড়বে পৃথিবীর শক্তিশালী অর্থনীতির এ দেশটি।