ঢাকা: ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এ বছর সব শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী দুই দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশী পাস করেছে এবং ছাত্রের চেয়ে ১৫ হাজার ১৬০ ছাত্রী বেশি জিপিএ পাঁচ পেয়েছে। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, আলিম, এইচএসসির (ভোকেশনাল/বিএম/ডিপ্লোমা ইন কমার্স) ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পুরো দেশে জিপিএ পাঁচ পেয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৮০ হাজার ৫৬১ জন ও নারী শিক্ষার্থী ৯৫ হাজার ৭২১ জন।
২০২২ সালের ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে দশ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জন। পাসের হার শতকরা ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এবার সাধারণ বোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ সব বোর্ডের ২০২২ সালের এইসএসসি, আলিম ও এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ দিকে, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯০ দশমিক ৭২ শতাংশ, যশোরে ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ, বরিশালে ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, সিলেটে ৮১ দশমিক ৪০ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৯ দশমিক শুন্য আট শতাংশ ও ময়মনসিংহ ৮০ দশমিক ৩২ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ৯৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ পাঁচ পেয়েছে। এর মধ্যে ৮০ হাজার ৫৬১ জন ছাত্র জিপিএ পাঁচ পেয়েছে এবং ৯৫ হাজার ৭২১ জন ছাত্রী জিপিএ পাঁচ পেয়েছেন। ঢাকা বোর্ডে জিপিএ পাঁচ পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২১ জন, কুমিল্লায় ১৪ হাজার ৯৯১ জন, যশোরে ১৮ হাজার ৭০৩ জন, রাজশাহীতে ২১ হাজার ৮৫৫ জন, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ৬৭০ জন, দিনাজপুরে ১১ হাজার ৮৩০ জন, বরিশালে সাত হাজার ৩৮৬ জন, ময়মনসিংহে পাঁচ হাজার ২৮ জন ও সিলেটে চার হাজার ৮৭১ জন। অন্য দিকে, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পেয়েছেন সাত হাজার ১০৪ জন ও মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ পাঁচ পেয়েছেন নয় হাজার ৪২৩ জন।
বলে রাখা ভাল, ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর পুরো দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। ১৩ ডিসেম্বর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ২২ ডিসেম্বর শেষ হয়।