ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রে একই দিনে ৫০ অঙ্গরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশীরা পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে। বুধবার (২৮ জুন) যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী সব দেশীয় মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহার নামাজে অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় হাজারেরও বেশি মসজিদের ব্যবস্থাপনায় এবারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। খোলা মাঠ ছাড়াও মসজিদ ও গির্জার মিনলায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের জামাত।
গেল দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদ ও মুসলিম ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০০ সালের যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদের সংখ্যা ছিল এক হাজার ২০৯টি, মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১১ সালে পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার ১০৬টি এবং ২০২০ সালের সর্বশেষ গণনায় যুক্তরাষ্ট্রে মোট মসজিদের পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার ৭৯৬টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মসজিদ রয়েছে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ৩৪৩টি, ক্যালিফোর্নিয়ায় ৩০৪টি, টেক্সাসে ২২৪টি, ফ্লোরিডায় ১৫৭টি ইলিনয়সে ১০৯টি ও নিউ জার্সিতে ১৪১টি মসজিদ রয়েছে।
বুধবার (২৮ জুন) বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি পরিচালিত মসজিদ, মসজিদ সংলগ্ন মাঠ, পার্কের মাঠে ও গির্জার মিনলায়তনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। যেসব এলাকায় মসজিদ নেই, সেসব এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে গির্জার মিনলায়তনেই জুমা ও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বাংলাদেশিদের পরিচালনাধীন তিন শতাধিক মসজিদ বা তৎসংলগ্ন মাঠে ঈদ জামাত করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বাংলাদেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সকাল আটটা থেকে শুরু হয় জামাত ও মসজিদগুলোতে পর্যায়ক্রমে চলে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত। ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছিল।
নিউ ইয়র্কের বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে। এ ছাড়া, জ্যামাইকার অন্য মসজিদ, জ্যাকসন হাইটস, ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন, ওজন পার্ক, এস্টোরিয়া, ম্যানহাটনসহ প্রায় সব এলাকার মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জনবহুল ও বাংলাদেশি অধুষ্যিত নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাট, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, ওহাইও, ইলিনয়স, কলারাডো, ডেলাওয়ার, জর্জিয়া, কানসাস, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, সাউথ ক্যারোলিনা, ওয়াশিংটন ও কেন্টাকির বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার এবং প্রায় দুই শতাধিক খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।