ঢাকা: ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এক হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা খরচে খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ দশটি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। বৃহস্পতিবার (৯ মে) শেরেবাংলা নগরে এনইসির সম্মেলন কক্ষে একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
দশটি প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত খরচ পাঁচ হাজার ৫৬৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাঁচ হাজার ২০৩ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বাকি ৩৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। এর মধ্যে আটটি নয়া প্রকল্প ও দুইটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনুমোদিত দশটি প্রকল্পের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল ঢাকার বাইরে প্রথম বারের মত চট্টগ্রামে বার্ন ইউনিট স্থাপন ও আরেকটি হচ্ছে খুলনায় একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।’
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প সম্পর্কে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, ‘দেশের আটটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি নেয়া হয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ২৮৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা খরচে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বার্ন ইউনিট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
নয়া অন্য ছয়টি প্রকল্প হল ১৪৪ কোটি সাত লাখ টাকা খরচে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব স্ট্যাটিস্টিকস সার্ভিস বেজড অন প্ল্যাটফর্ম’ প্রকল্প; এক হাজার ১০০ কোটি টাকা খরচে ‘পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’; এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন; ৮১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা খরচে ‘প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনেবিলিটি ইন দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড লেদার সেক্টর (এসটিআইএল)’ প্রকল্প; ৩৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা খরচে ‘ঢাকা জেলায় বিদ্যমান সার্কিট হাউজ ভবনের স্থলে নয়া আধুনিক সার্কিট হাউজ ভবন নির্মাণ’ ও ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের নয়া নির্মিত গাজীপুর ব্যাটালিয়নের (৬৩ বিজিবি) জন্য বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৩ কোটি দুই লাখ টাকা।
একনেক দুইটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে একটি হল ‘ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিএল), ছাতক, সুনামগঞ্জ (দ্বিতীয় সংশোধিত) ওয়েট প্রসেসকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তর’ প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৫২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা করা হয়েছে। অন্য দিকে, ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): ডিডিএম অংশ (তৃতীয় সংশোধিত)’-এর জন্য খরচ ছয় কোটি ৪০ লাখ টাকা কমানো হয়েছে।