রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩’ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল। অমর একুশের এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী-আমেরিকান নাগরিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, সাংবাদিক, নতুন প্রজন্ম ও কমিউনিটি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

একুশের প্রথম প্রহরে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কনুস্যলেটে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর শহিদ মিনারে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, বাণিজ্যিক ও কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ৫২’র ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

অনুষ্ঠানে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র দেখানো হয়।

মনিরুল ইসলাম ৫২’র ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি ও ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সব সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামের এক স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল এবং তিনিই প্রথম বারের মত জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে, যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে গৌরবান্বিত করেছে।’

মনিরুল ইসলাম নিউইয়র্ক শহরে একটি স্থায়ী শহিদ মিনার স্থাপনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন ও পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চায় যুক্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে আরো সুন্দর ও সার্থকভাবে ফুটিয়ে তোলার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে ৫২’র সব ভাষা শহিদ, শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহিদ সদস্য, ৭১ এর সব শহিদ, শহিদ বুদ্ধিজীবী ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বলে রাখা ভাল, দিবসটি উপলক্ষে গৃহিত কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্বে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় কনস্যুলেটে নিউইয়র্ক স্টেটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সিনেটর ও এ্যাসেম্বলী মেম্বরসহ বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও বিদেশী কুটনীতিকদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ, কাজাখস্তান ও পেরুসহ বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরেবেশনার মধ্য দিয়ে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হবে।