/ 
প্রিন্ট করুন
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম কম্প্রিহেনসিভ ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার চালু করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম। রোববার (১১ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়। কম্প্রিহেনসিভ ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারটি নিঃসন্দেহে চট্টগ্রামবাসীর জন্য অভাবনীয় এক উপহার। রোগীরা এখানে মেডিকেল অনকোলজি, রেডিয়েশন অনকোলজি, সার্জিক্যাল অনকোলজি, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট, হেমাটোলজি, পেইন-পেলিয়্যাটিভ কেয়ার ইত্যাদি সেবা পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডাক্তার ইসমাইল খান, সিএমসিএইচের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান, এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার রত্নদ্বীপ চাস্কার, হেমাটোলজি ও বিএমটি সেন্টারের কোঅর্ডিনেটর ডাক্তার আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ, মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর ডাক্তার আরিফ মাহমুদ, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার সামীর সিং, মেডিকেল ও রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর ডাক্তার সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর ডাক্তার দীপক সিং।
অনুষ্ঠানে ইসমাইল খান বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত যে, দেশে ক্যান্সার রোগীদের সেবা নিশ্চিতে এভারকেয়ার হসপিটাল প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। রোগীর সেবা প্রদানে তিনটি ট্রান্সফর্মেশন রয়েছে। প্রথমত, সাইকোলজিকাল ট্রান্সফর্মেশন, দ্বিতীয়ত কনভিকশনাল প্রান্সফর্মেশন ও তৃতীয়ত বিহেবিয়ারাল পার্সপেকটিভ। এ তিনটি ট্রান্সফর্মেশন নিশ্চিতের মাধ্যমে এভারকেয়ার হসপিটাল ক্যান্সার রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছে।’
রত্নদ্বীপ চাস্কার বলেন, ‘এভারকেয়ার গ্রুপ ও আমাদের টিম বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবাকে রূপান্তর করতে শীর্ষ স্থানীয় ভূমিকা রাখছে। আমরা বছরের পর বছর ঢাকায় ক্যান্সার রোগীদের বিশ্ব মানের চিকিৎসা দিচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামবাসীর জন্য বিশ্ব মানের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, চট্টগ্রামে প্রথম ও একমাত্র কম্প্রিহেনসিভ ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটি চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে বলে আমার বিশ্বাস।’
সামীর সিং বলেন, ‘এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বরাবরই এ অঞ্চলের মানুষদের জন্য উদ্ভাবনী ও বিশ্ব মানের নতুন নতুন সুবিধা এনেছে। তারই ধারাবাহিকতায়, অত্যাধুনিক এ সেন্টারের উদ্বোধন করতে পেরে আমরা গর্বিত। ক্যান্সার শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা সংকট ও ঘাটতিগুলো সামনে এসেছে। ক্যান্সারের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে দেশব্যাপী অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করার এখনই সময়।’
আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, ‘চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য খাতে এভারকেয়ার হসপিটাল যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। সিটির প্রথম ও একমাত্র হাসপাতাল হিসেবে আমরা অত্যাধুনিক বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট সুবিধা বাস্তবায়নে বিনিয়োগ করেছি। নতুন কম্প্রিহেনসিভ ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে বিএমটি পরিষেবা সবার জন্য সহজলভ্য করে তোলা সম্ভব হবে ও উন্নত চিকিৎসার সন্ধানে আর বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।’
সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণরূপে ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব। এর সবই এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের কম্প্রিহেনসিভ ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারে পাওয়া যাবে। এটি নিঃসন্দেহে চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি অভাবনীয় উপহার।’
অ্যাপয়েন্টমেন্ট ও জরুরি সেবার জন্য যোগাযোগের হটলাইন নম্বর ১০৬৬৩।
