মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

শিরোনাম

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার ৯৩তম জন্ম বার্ষিকী পালন

শুক্রবার, আগস্ট ১১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্রর: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্ম বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে পরিবার, সমাজ ও জাতির প্রতি বঙ্গমাতার আত্মত্যাগকে স্মরণ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পড়ে শোনান ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিল্টন। পরে, বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের উপর দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত ও আলোচনা সভা হয়।

সভায় মোহাম্মদ ইমরান বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার অনন্য অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার বিশ্বস্ত জীবনসঙ্গী হিসেবে ফজিলাতুন নেছার অসামান্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তার জীবনে লালন ও ধারণ করেছেন এবং তার সন্তানদেরও একই আদর্শে গড়ে তুলেছেন।’

ইমরান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার কন্যা শেখ হাসিনা একই শিক্ষা, আদর্শ ও চেতনা অনুসরণ করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘ফজিলাতুন নেছা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা বাঙালি নারীদের জন্য চিরকাল অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’

একই সাথে বঙ্গমাতার জীবন চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম আলোকিত ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোহাম্মদ ইমরান।

সভায় মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন বঙ্গমাতার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিকের ওপর আলোকপাত করেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তার দলের নেতা-কর্মীদেরকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস যুগিয়ে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে বঙ্গমাতা সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে শেখ মুজিবুর রহমান, ফজিলাতুন নেছা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং অন্য বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায়ন ছিলেন ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান।