ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার (১৬ মার্চ) বার্ষিক মিডিয়া ডিনারে নিজের বয়স নিয়ে খানিকটা রসিকতা করে আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পে কঠোর সমালোচনা করেছেন। ওয়াশিংটনের গ্রিডিরন ক্লাবে ৮১ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাট ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘একজন প্রার্থীর বয়স অনেক বেশি এবং মানসিকভাবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য। অন্য লোকটি আমি।’ সংবাদ এএফপির।
ডেমোক্র্যাট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া ও শীর্ষ স্থানীয় রাজনীতিবিদদের জন্য আয়োজিত জাকজমকপূর্ণ বার্ষিক হোয়াইট টাই অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম বক্তব্য রাখছিলেন। ২০১৮ সালে এমন একটি অনুষ্ঠানে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভাষণ দিয়েছিলেন।
বাইডেন বেশ কয়েকটি ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন ও তার বয়স নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগের মুখোমুখী হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে, তিনি ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের মৌখিক ভ্রান্ত ধারণাগুলো তুলে ধরে সমাধান করার চেষ্টা করেছেন।
তার ছেলের ব্যবসায়িক লেনদেনের ব্যাপারে অভিশংসন তদন্ত শুরু করা রিপাবলিকানদের প্রতি কটাক্ষ করে কংগ্রেসে বাইডেন তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘তারা ‘অন্য কিছুতে সফল হওয়ার চেয়ে অভিসংশনে ব্যর্থ হবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সেন্ট প্যাট্রিক দিবসের প্রাক্কালে বাইডেনের মুখোমুখী টেবিলে বসা আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার ‘কংগ্রেসের দিকে এক নজর চেয়েছিলেন এবং তিনি আরেকটি গিনেসের কথা বলেছিলেন।’
লিও ভারাদকার এবং বাইডেন শুক্রবার (১৫ মার্চ) হোয়াইট হাউসে বৈঠককালে কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের জন্য রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা বন্ধ করার চাপ দিয়েছিলেন।
কিন্তু, বাইডেন তখন ট্রাম্পের কাছে ফিরে এসে বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় দেখাবে যে, করোনা ভাইরাস মহামারির পর তারা কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনর্নিমাণ করেছে।’
তিনি একটি ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে তখন ট্রাম্প একজন শীর্ষ চিকিৎসা উপদেষ্টাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ভাইরাসে আক্রান্তদের ভাইরাস নিরাময়ের জন্য জীবাণুনাশক ইনজেকশন দেয়া যেতে পারে কি-না।’
বাইডেন আরো বলেন, ‘দেখুন, আমি আশা করি, এসব রসিকতা ছিল। কিন্তু আসলে তা নয়।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা আক্ষরিকভাবে আক্রমণের মুখে পড়েছে। পুতিন ইউরোপে পদযাত্রা করছেন। এ ক্ষেত্রে, আমার পূর্বসূরি তার কাছে মাথা নত করে বলেছেন, ‘আপনি যা খুশি করেন।’
তার টেবিলে বসা রাশিয়ার কঠোর সমালোচক এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা ক্যালাসের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মাথা নত করব না, তারা মাথা নত করবে না ও আমিও মাথা নত করব না।’