ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির শেরাটন পেন্টাগন হোটেলে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘এলায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান-আমেরিকান লেবার’ বা অ্যাসালের ১৭তম বার্ষিক সম্মেলন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, ‘অ্যাসালের মত সংগঠনের ব্যানারে এখন থেকেই ভোটারদের সজাগ করতে হবে।’
সম্মেলনে ভোট রেজিষ্ট্রেশন করতে আহ্বান জানানো হয়।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসালের জাতীয় প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাহ উদ্দিন, চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ, ন্যাশনাল সেক্রেটারি করিম চৌধুরী, শরাফত হোসেন বাবু, জেকব মিল্টন।
মাফ মিসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ান-আমেরিকানদের মধ্যেকার সম্প্রীতির বন্ধন জোরদারের মাধ্যমে আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের পথ সুগম করতে কাজ করছে অ্যাসাল। এই পথ-পরিক্রমাতেই ইমিগ্র্যান্ট-বিরোধী সব কর্মকাণ্ড রুখে দেয়া সম্ভব। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, আফগানিস্তান, মায়ানমার ও নেপালের ইমিগ্র্যান্টদের এই সংগঠনের বেশ কটি চ্যাপ্টার রয়েছে জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া, নিউইয়র্ক ও নিউজার্সিতে। ক্রমান্বয়ে এসালকে অন্যতম একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করা হবে মার্কিন রাজনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ানদের অবস্থান সুসংহত করতে। সম্মেলনে এসেছেন ম্যারিল্যান্ড এবং ইলিনয় অঙ্গরাজ্য থেকেও। সামনের দিনে ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, টেক্সাস, আরিজোনা, ওয়াশিংটন, ভার্জিনিয়াতেও চ্যাপ্টারের পরিকল্পনা রয়েছে।
জনপিন ক্যাটেলি অ্যাসালকে প্রতি বছর পাঁছটি স্কলারশিপ দিবেন। অ্যাসালের পরিবারের সদস্যরা এ স্কলারশিপ পাবেন বলে জানান মাফ মেজবাহ উদ্দিন।
এ সম্মেলনে গত বছরের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন করিম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে শাহ নেওয়াজকে সম্মাননা দেয়া হয়।
শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘আমি অ্যাসালের সাথে যুক্ত হতে পেরে ধন্য মনে করছি এবং অ্যাসাল সারা আমেরিকায় কাজ করছে, এটা আমাদের এশিয়ানদের জন্য একটি শক্তি। অ্যাসাল আমাদের কথা বলে।’
বাংলাদেশ তথা এশিয়ার সকলকে অ্যাসালের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন গান করেন উত্তর আমেরিকার সঙ্গীত শিল্পী রানো নেওয়াজ ও অনিক রাজ।