রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত

শনিবার, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত জয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাতে নির্মমভাবে নিহত এই মাটির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে, বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এই উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পড়েন মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান। এরপরে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা হয়।

সভায় মোহাম্মদ ইমরান শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান।

মোহাম্মদ ইমরান পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের দ্বারা বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞকে মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন এবং এই দিনটি আরো বৃহৎ পরিসরে পালনের মাধ্যমে এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ছিল জাতির জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।’

মোহাম্মদ ইরমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অনুরোধ জানান।

মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন ১৪ ডিসেম্বরকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক দিন হিসেবে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা এই দিনে দেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল।’

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের শাস্তি এড়াতে কিছু যুদ্ধাপরাধী বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করতে দ্রুত তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

শহিদ বুদ্ধিজীবী, শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। কর্মসূচি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।