বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫

শিরোনাম

ওয়াশিংটন বিএনপির উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা ও ইফতার মাহফিল

রবিবার, মার্চ ৩০, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির আয়োজনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।

ভার্জিনিয়ায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন জাহাঙ্গীর খান। ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির সভাপতি হাফিজ খান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন।

অনুষ্ঠানে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে সরিয়ে স্বাধীন হয়েছে আমাদের দেশ। আর এই স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭১ সালে জাতি যখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল সে সময় শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় ছিলেন? তখন আমাদের নেতা বীর সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।’

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশে বারবার যখন গণতন্ত্র হুমকির মুখের পড়েছে তখনই আপোসহীন নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে আপোসহীনভাবে কাজ করে গেছেন। এজন্য তাকে কারাগারে পতিত হতে হয়েছে। কারাগারে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেননি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন। তার নেতৃত্বে বিএনপি আজ ঐক্যবদ্ধ।’

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির সহসভাপতি শাহাদাত এইচ সোহরাওয়ার্দী, সহসভাপতি কাজী এম রহমান, মজনু মিয়া, জাহিদ খান, গাজী কামরুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, মোখলেসুর রহমান, খালেদ তফাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, সৈয়দ সালেহ মনসুর পরশ, সাঈদ হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মঈনউদ্দিন বিপ্লব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির, জাহাঙ্গীর খান, জহিরুল ইসলাম, আবুল হাসেম আজাদ, দপ্তর সম্পাদক-আরিফ উল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক-রেজওয়ান আনসারী পল্লব, কোষাধ্যক্ষ নূর হোসেন বাহাদুর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মহসিন মিয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শাহাজাহান সিরাজ, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মীর নির্ঝর রহমান নিক্সন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সুমন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আহমেদ তরিকুর রহমান জনি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাসুমা আক্তার মেরি, কমিটির সদস্য- শফিক কামাল রাসেল, তৌফিকুল ইসলাম, নুরুন্নাহ খাতুন, ফারহানা মাইনুদ্দিন, হেলেনা আক্তার, গোলাম ফারুকী কিরণ, নাফিস খান, সৈয়দ হাবিব আহসান, আসিফ রেজা, সাঈদ খান, মোহাম্মদ শফিক মোল্লা, সাঈদ লিটু, আনসার আহমেদ, আব্দুস সালাম, আবুল কালাম আজাদ, লাল মাহমুদ, এমডি মুনিরুল ইসলাম, রেজাউল করিম, আলী হায়দার, বাকির আহমেদ।

আরো পড়ুন

ঢাকা: যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের নামাজ পরবর্তী বিশেষ মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং ফিলিস্তিনে নির্যাতিত মুসলিমদের ওপর আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করা হয়। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত শুরু হয়। মোনাজাতের মাধ্যমে নামাজ শেষ হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। পরবর্তী সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে আরও চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। দুই রাকাত ওয়াজির নামাজের পর খুতবা দেন ইমাম, এরপর হয় মোনাজাত। মোনাজাতে গুনাহ মাফের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়। মুসল্লিরা অনেকেই চোখের জলে আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। বর্তমান সরকারের জন্য দোয়া করা হয়। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন মুসল্লিরা। প্রথম জামাত শেষে মুসল্লিদের একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা গেছে। মসজিদ চত্বরে মুসল্লিদের সেলফিতে মেতে উঠতে দেখা যায়। সারাদেশে আজ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।