চট্টগ্রাম: ফাগুন মানেই আকাশটাকে মাথায় নিয়ে নানা রঙের প্রজাপতির উড়াউড়ি। ফাগুন হাওয়ায় কৃষ্ণচূড়া আর পলাশের সৌরভে প্রকাশ পায় প্রিয়জনের সান্নিধ্যের অপেক্ষা। ফেব্রুয়ারির ফাগুন শুধু প্রাণ জাগাবার মাস নয়, এ মাসেই মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রোপিত হয়েছিল বাঙালির স্বাধীনতার বীজ। অংকুরিত হয়েছিল গণতান্ত্রিক অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশের। আর এ বিষয়কে উপজীব্য করে বাচিক শিল্প আয়োজন করে ‘পলাশ-রাঙা ফাল্গুনে’ শীর্ষক আবৃত্তি সন্ধ্যার ষষ্ঠ পর্ব। কণ্ঠনীড়ের নিজস্ব মিলনায়তনে শনিবার (২৭ ফেব্রয়ারি) সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে ছিল কথামালা, কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, একক ও দলীয় আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশনা।
কণ্ঠনীড়ের সভাপতি সেলিম রেজা সাগরের সঞ্চালনায় কথামালায় অংশ নেন কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার। তিনি বলেন, ‘অসম্পদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য কণ্ঠনীড়ের মত সংগঠনগুলোর ভূমিকা অপরিসীম।’ ফুল ও পাখিদের জন্য, নিরাপদ পৃথিবীর জন্য সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি প্রকৃতি নিয়েও কাজ করার কথা বলেন তিনি। কণ্ঠনীড়ের ভবিষ্যত সাফল্যের বিষয়ে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের শিশু সাহিত্যে একুশে পদক ২০২৩ প্রাপ্ত ছড়াকার উৎপল কান্তি বড়ুয়া ও জসীম মেহবুব। কবিতা পাঠ করে শোনান কবি হোসাইন কবির ও শাহীন মাহমুদ।
কথমালার পর শুরু হয় আবৃত্তি পরিবেশনা। শুরুতে দলীয় আবৃত্তি-একুশের পদাবলী নিয়ে মঞ্চে আসেন কণ্ঠনীড়ের সদস্যরা। সেলিম রেজা সাগরের গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় এতে অংশ নেন তাজুল ইসলাম, কানিজ ফাতেমা হীরা, সাইদুল রাকিব, তাফসির মোহাম্মদ মাহিন, শামিমা আক্তার, শারজিদা নূর, অর্পিতা পাল ও বিবি ফাতিহা আজমাইন।
এরপর কণ্ঠনীড়ের শিশু বিভাগের জয় বড়ুয়া, অরণ্য বড়ুয়া, সমৃদ্ধ বড়ুয়া দিপ্র ও দিগন্ত বড়ুয়া আবৃত্তি করেন। আবৃত্তি করেন আল হাসনাত শিহাব, তাজুল ইসলাম, কানিজ ফাতেমা, সাইদুল রাকিব, তাফসির মোহাম্মদ মাহিন, শামিমা আক্তার, শারজিদা নূর, অর্পিতা পাল ও বিবি ফাতিহা আজমাইন। সঙ্গীত পরিবেশন করেন ফারিহা তাবাসসুম রাইভি।
আমিন্ত্রত আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী মিশফাক রাসেল, দেবাশীষ রুদ্র, মাহ্বুবুর রহমান মাহফুজ। আমন্ত্রিত সংগঠন প্রমার আবৃত্তিশিল্পী সাইফুর রহমান, হৈমন্তী শুল্কা, মৌসুমী চক্রবর্তী, নির্মাণ আবৃত্তি অঙ্গনের পুস্পা সর্ববিদ্যা, নরেন আবৃত্তি একাডেমীর পৃথা পারমিতা আবৃত্তি করেন।