চট্টগ্রাম: কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। সদ্য বিদায়ী বছরে ৩২ লাখ ৭৬ হাজার কনটেইনার এবং ১২ কোটি ৩৯ লাখ মেট্রিক টন পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে এখানে। মূলত ডলার সংকট কাটিয়ে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য গতিশীল হওয়ায় বন্দরের এই সফলতা বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
পৃথিবীর ব্যস্ততম ১০০ বন্দরের মধ্যে ৬৭তম অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম বন্দরকে গত কয়েক বছর ধরেই নানা জটিলতার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে। এরইমধ্যে ডলার সংকটের মুখে বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে লাগাম টানায় ভাটা পড়েছিল বন্দরের কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে। ২০২৩ সালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ৩০ লাখ ৫০ হাজার এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ১২ কোটি দুই লাখ মেট্রিক টনে নেমে এসেছিল।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পাশাপাশি সেপ্টেম্বরের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেশের অর্থনীতি। এত সংকটের মাঝেও ২০২৪ সালে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৩২ লাখ ৭৬ হাজার কনটেইনার এবং ১২ কোটি ৩৯ লাখ মেট্রিক টন পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে এখানে।
চবকের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নিজের সক্ষমতা ও সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে বন্দরটি।’
রেকর্ডের অংশীদার কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলতে নতুন বছরের প্রথম দিন বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালেই জেটিতে আসেন চবকের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনা অনেক উন্নত করা হয়েছে। এতে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে গতি বেড়েছে। এই গতি ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বাড়বে।’
তবে, বন্দরটির অবস্থা বছরের শুরুতে এতটা রমরমা অবস্থায় ছিল না। ডলার সংকট আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় হারাতে বসেছিল বিশ্ব র্যাংকিংয়ের অবস্থান। বর্তমানে এলসি খোলার ক্ষেত্রে ডলারের জোগান বাড়ায় আমদানি ও রফতানি দুটিই বেড়েছে বলে জানান শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আরিফ।
তিনি বলেন, ‘এলসি খুলতে পারায় ও কাঁচামাল আমদানি বাড়ায় বেড়েছে উৎপাদন। এতে রফতানির পরিমাণও বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।’