ইদানিং আমার শরীর মন যাচ্ছে না তো ভাল
হৃদয়ের হাহাকার আর আর্তনাদ বাড়ছে শুধু।
আপনজনের মৃত্যের শোকে হৃদয় স্তম্ভিত, শংকিত।
খুব সহজেই এখন আমি উন্মাতাল হই
শুধু ভেঙেই পড়ি আর উজ্জীবিত না হই।
খুব তাড়াতাড়ি সবকিছুর মূল খুঁজতে যাই
নানাবিধ শরীরের আবরণ ভেদ করতে চাই।
‘জীবন-মৃত্যু’ বিধাতার দেয়া নীতি,
বয়ে যায় নিরবধি, নিজস্ব তার গতি।
জীব মাত্রই মৃত্যু পথিক সকলেই যাবে মরে
সেই দিনে মোদের কর্মফল দেখাবে পুরা করে।
যেজন অস্বীকার করেছে নিদর্শনে তার
তার চেয়ে বড় নাফরমান কে আছে আর?
যেখানেই থাকি মৃত্যু নাগাল পাইবেই মোদের
যদিও বা থাকি ভেতরে সুদৃঢ় সুউচ্চ দূর্গের।
আমাদেরকে যদি ধরতেন প্রভু জুলুমের তরে
কোন প্রাণীকেই দিতেন না ছাড় এই ধরণীর প’রে
পরাক্রমশালী প্রভুই তিনি তারই সৃষ্টির প’রে
হেফাজতকারী প্রেরণ করেন তিনি আমাদেরই তরে।
আমাদের কারো মৃত্যু যখন এসে যায় অবশেষে
তখনই প্রভুর প্রেরিতরা মোদের মৃত্যু ঘটায় এসে।
আর তারা কোন ভুল করে না মধ্যে তার কাজে।
তারা কোন দিন যদি এসে যায় আমার দুয়ারের কাছে অপ্রস্তুত,
তবুও ভাল-মন্দ যাই ঘটুক হাত বাড়াব নিজে।
কবি: সংস্কৃতিকর্মী, চট্টগ্রাম