আমি তো সমাজের প্রতিনিধিত্ব করি
কিন্তু দিতে পারি না বোনের হকটুকু তারই।
আমি তো ধর্মের নিয়ম-কানুন ঠিক বুঝি ,
কিন্তু অপরের হক খেতে দ্বিধা করি না।
আমি বড়ই স্বার্থপর, নিজের বেলায় তো ষোল,
মুখোশের আড়ালে থেকে করি যত অপকর্ম
বুঝতে পারে না কেউ আমার মতিগতির কর্ম।
আমিই চালায় সমাজের যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল
আবার করি আমি যত অনিয়ম আর উচ্ছৃঙ্খল।
আমি বড়ই অদ্ভুত,
ধরতে পারে না আমার কেউ খুঁত।
সবাই শুধু চেঁচিয়ে বলে সাবাশ! সাবাশ!!
আমার তো আছে গাড়ি বাড়ি আর নারী
আপন জনদের নাই কোন টাকা কড়ি।
মুখোশ পরে থাকি শুধু,
আর দিই মানুষকে ফাঁকি।
সবাই শুধু দেয় বাহ বাহ
সামনে দেয় আরো হাততালি
এভাবেই যায় মোর জীবন চলি।
ভয়ে ভয়ে থাকি শুধু নিজের ভিতর
আমি তো জানি এই আমিত্বকে!
কখন যে ক্ষেপে আসে দল বল নিয়ে
নীরেন্দ্রনাথের সে-ই ছোট্ট বালক
সবার সম্মুখে গলা তুলে চেঁচিয়ে বলে
সর্দার! তোর মুখোশ খুল্ !
কবি: বংশীবাদক ও সংস্কৃতি কর্মী। চট্টগ্রাম