শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

কমলার নির্বাচনী প্রচারণায় বললেন বাইডেন, ‘ইলন মাস্ক ‘অবৈধ অভিবাসী’

সোমবার, অক্টোবর ২৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

পেনসিলভানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ককে অবৈধ অভিবাসী বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) পেনসিলভানিয়ায় ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি এ দাবি করেন।

আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসন নীতি নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে অভিবাসী বিরোধী বক্তব্য। ট্রাম্প অভিবাসীদের ‘দখলদার ও অপরাধী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। এমনকি ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে সমর্থনও দিয়েছেন তিনি।

তবে, ইলন মাস্ককে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে খোঁচা মারলেন বাইডেন। পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলার প্রচারণায় বাইডেন বলেছেন, ‘পৃথিবীর এ ধনকুবের এক কালে অবৈধ কর্মী ছিলেন, যখন তিনি এখানে ছিলেন।’

বাইডেন আরো বলেন, ‘তিনি যখন স্টুডেন্ট ভিসায় এখানে এসেছিলেন, তখন তার বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি সে সময় পড়ালেখা না করে আইন লঙ্ঘন করেন।’

‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৯৯০’-এর দশকে একটি স্টার্ট আপ কোম্পানি প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে কিছু দিনের জন্য অবৈধভাবে কাজ করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া ইলন মাস্ক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘১৯৯৫ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের পালো-আলটো শহরে চলে যান মাস্ক। তবে, স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি না হয়ে নিজের সফটওয়্যার কোম্পানি ‘জিপ টু’ গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দেন তিনি। চার বছর পর প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দেন তিনি।’

দুই অভিবাসী বিশেষজ্ঞের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মাস্ক স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হলেই শিক্ষার্থী হিসেবে বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি পেতেন।’

এ অভিযোগের ব্যাপারে মাস্কের বক্তব্য জানতে তার মালিকানাধীন চার প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স, টেসলা, এক্স ও ‘দ্য বোরিং’ কোম্পানিতে প্রতিনিধি পাঠানো হয়। এমনকি তার আইনজীবী অ্যালেক্স স্পাইরোর সাথেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে, তাদের কারো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।