বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস বুধবার

মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস বুধবার (২৬ এপ্রিল)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামে ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়।

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা প্রবর্তন করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই দেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে তৎকালীন মহকুমা ও থানা পর্যায়ে স্বাস্থ্য অবকাঠামো গড়ে তুলেছিলেন শেখ মুজিব।

আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই দেশব্যাপী প্রতি ছয় হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে মোট ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০০১ সালের মধ্যেই দশ হাজার ৭২৩টি অবকাঠামো স্থাপনপূর্বক প্রায় আট হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু করা হয়। কিন্তু, বিএনপি-জামাত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ফের কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের কাজ শুরু করে।

সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সেবার পরিধি সম্প্রসারিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে পাঁচ শতাংশের বদলে বর্তমানে আট শতাংশ জমিতে চার কক্ষবিশিষ্ট নতুন নকশার ভিত্তিতে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ২২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৫-২০১৬ থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ৮১১টি নতুন নকশার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২০২২ সালে ৭৭১ জন নতুন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োগসহ এ পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ৪৩৮ জন সিএইচসিপি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১৪ হাজার ১২৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকে করোনা টিকা দেয়া হয়। এছাড়াও, এসব ক্লিনিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টিসেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল- এটি সরকার ও জনগণের সম্মিলিত অংশীদারিত্বের একটি সফল কার্যক্রম, যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা ও স্থায়িত্বের লক্ষ্যে সরকার ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন’ পাস করেছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সারাদেশের প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবাসহ বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ ও স্বাস্থ্য সেবা সামগ্রী দেয়া হচ্ছে। বর্তমান অর্থ বছরে ওষুধ ও স্বাস্থ্য সেবা সামগ্রী বাবদ বছরে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ২৪১ কোটি থেকে ২৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।