ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: চীন থেকে আসা ব্যক্তিদের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার নিয়ম জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে, চীন থেকে কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে চান, তাহলে তাদের অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে ও করোনা নেগেটিভ হতে হবে। খবর ডয়চে ভেলের।
আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে এ নিয়ম চালু করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ফেডারেল স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই বছরের বেশি বয়সী সব যাত্রীর করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া চীন, হংকং ও ম্যাকাউ থেকে কোন যাত্রী যুক্তরাষ্ট্রের বিমানে বসলে আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তারা বিমানে চড়তে পারবেন।
মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগ বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য বিমানে ওঠার দুই দিন আগে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। আর যারা ফ্লাইটের দশ দিন আগে করোনায় পজিটিভ এসেছে, তাদের নেগেটিভ সনদের প্রয়োজন হবে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ‘ওয়াশিংটন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যাবে ও প্রয়োজনে সমন্বয় করবে।’ পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে পর্যাপ্ত ও স্বচ্ছ তথ্য সরবরাহ ব্যর্থ হওয়ার জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রকৃত অর্থে চীনে দৈনিক কতজন মারা যাচ্ছেন ও শনাক্ত হয়েছেন তার সংখ্যা প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছে শি জিনপিং সরকার। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চীনের হাসপাতালগুলো করোনা রোগীতে পরিপূর্ণ।
এ দিকে, ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীনে এখন করোনা ভয়ংকরভাবে ছড়াচ্ছে। সরকার তথ্য গোপন করছে বলে পশ্চিমা দেশগুলির অভিযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘চীনে নতুন প্রজাতির ভাইরাস দেখা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের হাতে যথেষ্ট তথ্য নেই। তাই এ ভাইরাস কতটা ভয়ংকর, তা তারা বলতে পারছেন না।’
এ ছাড়া ইতালিও জানিয়ে দিয়েছে, চীন থেকে তাদের দেশে আসতে গেলে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা করাতে হবে ও রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই প্লেনে বসা যাবে। উত্তর ইতালিতে ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে গেছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বিক্ষোভের মুখে দীর্ঘ দিনের ‘শূন্য কোভিড’ নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে চীন। দেশটিতে প্রবেশকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন বিধি ৮ জানুয়ারি থেকে তুলে নেয়া হচ্ছে।