মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ

রবিবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে।’ এ দিকে, বৈশ্বিক ঋণ দাতা সংস্থাটি ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির দ্য রিজ-কার্লটন হোটেলের সভা কক্ষে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমরা কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি।’

আইএমএফ সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্যে চার দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির ব্যাপক প্রশংসা করেছেন আইএমএফের এমডি; যা করোনা ভাইরাস মহামারির পরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করে তুলেছে।’

মোমেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে উদ্ধৃত করে বলেন, “বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোলমডেল (সামগ্রিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে)। কারণ, দেশটি এমনকি করোনা মহামারির পরও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে।’

আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মত নেতৃত্ব প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন ও দক্ষ যোগাযোগ এবং আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।’

এছাড়া, ক্রিস্টালিনা করোনা মহামারিকালে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখারও প্রশংসা করেছেন।

শেখ হাসিনা তার দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের নানা উদ্যোগ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করেন।

তিনি আরো বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন এক দিনে হয়নি। বরং, এটি দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনার ফল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পট পরিবর্তনের পর কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন চেয়েছেন, সেভাবে তার পরিকল্পনা করেন ও ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেন।’

তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের পদক্ষেপ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় আইএমএফের ভূমিকার প্রশংসা করেন ও ভবিষ্যতেও সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে আশা করেন।

ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আবদুর রউফ বলেন, ‘গেল ১৪ বছরে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইএমএফ সব সময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে এবং দেশটি কখনই এর থেকে বিচ্যুত হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে চার দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচি নিয়ে আইএমএফের সাথে কাজ করছে; যা বাংলাদেশ মাত্র দুই সপ্তাহের আলোচনার মাধ্যমে পেয়েছে। যদিও, অনেক দেশ বছরে পর বছর ধরে আলোচনা চালিয়েও পায় না।’

আইএমএফ প্রধানকে উদ্ধৃত করে রউফ বলেন, ‘আইএমএফ ভবিষ্যতে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’

ব্রিফিংকালে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।