সোমবার, ২০ মে ২০২৪

শিরোনাম

কিনু কাহারের থেটার: একটা সম্পূর্ণ সুন্দর মঞ্চায়ন উপভোগ করলাম

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২

প্রিন্ট করুন

সেলিম আক্তার পিয়াল: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নাট্যকলার প্রযোজনা ও মনোজ মিত্রের লিখা
নাটক ‘কিনু কাহারের থেটার’। নির্দেশনায় অসীম দাশ। মঞ্চায়নে ছিল ওই বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। একেবারে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে ওদের অভিনয় উপভোগ করেছি। প্রত্যেকের দক্ষতা এতই ভাল ছিল চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে, যা থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের (টিআইসি) কখনো নীরব, বখনো হাস্যময়, কখনো ব্যথিত দর্শকদের দেখেই বোঝা গেছে।

শুরুতেই আলোকিত জীবনের মঞ্চের মাঝে থেটারের সবার কৌতুহলী চলাফেরা অসাধারণ। নাটকের কাহিনী যারা দেখেছে, তারা জানেন। তবে, নাটকের মঞ্চায়নে প্রত্যেকের সাবলীল উপস্থাপন চোখ ফেরাতে দেয় নি আমাকে। সব গানের সুর অনেক বেশী স্নিগ্ধ, অনেক অনেক মার্জিত ও পরিশীলিতভাবে এতই সুমধুর ছিল; যা একজন নাট্যবোদ্ধাই ভাল বলতে পারবেন।

অসীমদার সাথে থিয়েটারে গুরু-শিষ্যের মত পথ চলায় উনার মেধা সম্পর্কে জানতাম। কিনুতে এসে নতুন করে চিনলাম। আপ্লুত হলাম, তুলনাহীন আপনি অসীম দা। দারুণ একটা নাটকের অসাধারণ আপনার নির্দেশনা; যা মঞ্চের ইতিহাসে নতুন মাত্রা এনে দিল। একটা সম্পূর্ণ সুন্দর মঞ্চায়ন উপভোগ করলাম।

একটা কথা অসীমদা, আমাদের প্রতিভাস এর প্রযোজনা কিনু কাহারের থেটার এ আমাদের সাথে এ নাটকের সংগীত পরিচালক ছিলেন। নির্দেশনায় ছিলেন মুনীর হেলাল। সে ৯০/৯১ সালের কথা। আমি ছিলাম ভাঁড়ের চরিত্রে। আজ নাটক শেষে আমরা এতই আনন্দিত যে, সবাই হেসে হেসে কথা বলছিলাম, ঠিক তখন এক বোদ্ধা নাট্যকর্মী!! আমাদের প্রতিভাসের কয়জনের দিকে তাকিয়ে বললেন, দেখেছ তো, তোমরা কি কি ভুল করেছ, শুধরে নাও! রিহার্সেল কর রিহার্সেল কর,,,,,। অবাক ব্যাপার! এ আবার কেমন উপদেশ! পাশে আমাদের কিনু কাহারের থেটার এর নির্দেশক নিজেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। উনি এরপরে শোতে যাবেন। যাক, কিছু বলি নি। কারণ, উনি তো উনিই,,,,।

আবারো বলি, মনে ভরে গেল আজ, নাটকটা দেখে। ধন্যবাদ অসীমদা, ধন্যবাদ সব কুশীলব,

লেখক: ২৬তম ব্যাচ, চবি। সদস্য, প্রতিভাস, চট্টগ্রাম।