ঢাকা: আশরাফুল হোসেন আলমের ওপর হামলার ঘটনার পর বিবৃতি দেয় ১২টি পশ্চিমা দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দূতাবাস। ওই বিবৃতিকে ‘ত্রুটিপূর্ণ বিবৃতি’ বলে আখ্যা দিয়েছে সরকার। এমন বিবৃতি দিয়ে তারা কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছে বলেও সরকার মনে করে। এসব দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের ডেকে এ কূটনীতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘনের বিষয়টি বুধবার (২৬ জুলাই) জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাস প্রতিনিধিদের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ডেকে এ বিষয়ে সরকারের অসন্তোষের কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বুধবার (২৬ জুলাই) ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের ব্যাপারটি জানান।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে গেল ১৭ জুলাই ভোটের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমেরওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার ব্যাজধারী কয়েকজন বনানীর একটি কেন্দ্রে এ হামলা করেন। যেসব দেশ ও সংস্থা আশরাফুল হোসেনের ব্যাপারে বিবৃতি দিয়েছে তারা হল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর মধ্যে সুইডেন, ইতালি ও ডেনমার্ক ছাড়া ঢাকায় অন্য রাষ্ট্রদূতেরা পদ্মায় উপস্থিত হয়েছিলেন। এ সময় ঢাকা-১৭ আসনের বিজয়ী প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতও পদ্মায় উপস্থিত ছিলেন।
শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৩ দূতাবাসের কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘনের বিষয়ে সরকারের বক্তব্য দেশগুলোর সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।’
একই বিষয়ে টুইট করায় ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিকে আগে তলব করে সরকারের অসন্তোষের কথা অবহিত করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।