মেহেরপুর: চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম রঙে সেজেছে প্রকৃতি। কৃষ্ণচূড়ার রঙে রক্তিম ফুলে মেহেরপুর সেজেছে গ্রীষ্মের রৈদ্দুরের উত্তাপ গায়ে মেখে। রাস্তার দুই পাশে অগনিত কৃষ্ণচূড়ার গাছে ফুলের সমারোহ রঙ ছড়িয়ে হয়েছে নানা বর্ণময়। টুকটুকে লাল, কমলা, হলুদ ফুল ও উজ্জ্বল সবুজ পাতা দিয়ে নতুন রূপে প্রকৃতির অপরুপ রূপে সেজেছে মেহেরপুর; যা দূর থেকেও পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
গন্ধে উদাস হাওয়ার মত উড়ে তোমার উত্তরী কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জুরিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের মত অনেকেই বাংলা কবিতা-গানে উপমা হিসেবে এনেছেন কৃষ্ণচূড়াকে। শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষটি গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি শহরের পথে-প্রান্তরের শোভা বর্ধন করে যাচ্ছে। গ্রীষ্মে যখন এ ফুল ফোটে, তখন এর রূপে মুগ্ধ হয়ে পথচারীরা থমকে দাঁড়ায়। গ্রীষ্মের প্রচন্ড খরতাপে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের পাশাপাশি এসব গাছ দিচ্ছে ক্লান্ত দেহে ছায়া আর মনে প্রশান্তির পরশ।
মেহেরপুরের প্রায় সব সড়কে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটেছে। অনেক বাড়িতেও কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটেছে। গ্রীষ্মের এ আগুনঝরা দিনে যেন লাল বেনারসি পরা নববধূর সাজে কারো অপেক্ষায় আছে কৃষ্ণচূড়া।
সদর উপজেলার বারাদি বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাছের ছায়ায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে গরমের দিনে অনেক স্বস্তি পাই। আর এ গাছের ছায়ায় ক্লান্ত পথচারীরা নিজেকে একটু জুড়িয়ে নেয়।’
শহরের বামনপাড়ার কৃষ্ণচূড়ার গাছের ছায়ায় বাঁশবেতের কারুশিল্পী হরিপদ বলেন, ‘প্রচন্ড রোদে এ গাছের ছায়ায় কাজ করতে ক্লান্ত হয় না।’
সাংস্কৃতিক ব্যক্তি শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু বলেন, ‘ধূলা-বালির এ শহরে গ্রীষ্মের খরতাপে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো।