লুইসভিল, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি রাজ্যের লুইসভিলে সোমবার (১১ এপ্রিল) ২৫ বছর বয়সী যুবক ব্যাংকে কর্মচারী তার কর্মস্থলে গুলি চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করে। ওই সহিংসতায় আরো অন্তত আটজন আহত হয়েছে। পুলিশ সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করেছে। ইন্টারনেটে হামলার লাইভ ভিডিও প্রচারিত হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে চারজনের মৃত্যুর কথা জানা যায়। তবে, লুইসভিল কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যায় ৫৭ বছর বয়সী আরো একজন নারীর মুত্যুর ঘোষণা দেয়। তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেছেন। খবর এএফপির।
পুলিশ সর্বশেষ এ মার্কিন গণহত্যায় বন্দুকধারী সন্ত্রাসি শেতাঙ্গ কনর স্টার্জন নামে শনাক্ত করে বলেছে, সে কেনটাকির বৃহত্তম নগরীর উপকন্ঠে অবস্থিত ওল্ড ন্যাশনাল ব্যাংকের কর্মচারী।
অন্তবর্তী পুলিশ প্রধান জ্যাকলিন গুইন-ভিলারোয়েল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সকাল আটটা ৩৮ মিনিটে (গ্রিনীচ মান সময় ১২৩৮টায়) ব্যাংকে গোলাগুলির খবর পাওয়ার পর তিন মিনিটের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সন্দেহভাজন বন্দুকধারী পুলিশ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য গুলি ছোঁড়ে ও পুলিশের পাল্টা গুলিতে সে নিহত হয়।
তিনি জানান, সন্ত্রাস চালানোর জন্য সন্ত্রাসি একটি রাইফেল বেছে নেয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রে দুঃখজনক গণহত্যায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত হওয়া হামলার অস্ত্র ছিল কিনা সে সম্পর্কে উল্লেখ করেননি।
গুইন-ভিলারোয়েল জানান, প্রাথমিক তথ্যে হামলাকারির বয়স ২৩ জানানো হয় তবে পরে পুলিশের আপডেটকৃত তথ্যে তার বয়স ২৫ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে হামলার লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের মূল সংস্থা মেটা’র একজন মুখপাত্র বলেন, সংস্থাটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে এ মর্মান্তিক ঘটনার লাইভস্ট্রিমটি দ্রুত সরিয়ে দিয়েছে।
সন্দেহভাজন ব্যক্তির উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোন তথ্য জানা যায়নি, তবে সিএনএন একটি আইন প্রয়োগকারী উৎসকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘হামলাকারী ব্যক্তি হামলার ঘটনার আগে জানতে পারে যে, সে তার চাকরি হারাচ্ছে।
গুইন-ভিলারোয়েল বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজনের অবস্থা গুরুতর। গুরুতরভাবে আহত ওই কর্মকর্তার মাথায় গুলি লেগেছে।
লুইসভিল পুলিশ বিভাগ বলেছে, ‘হামলায় নিহত তিনজন পুরুষ ও অপর একজন নারী তাদের বয়স ৪০-৬৪ বছরের মধ্যে।’
নিহতদের একজন লুইসভিলের মেয়র টমি এলিয়ট (৬৩)।
বন্দুক সহিংসতা আর্কাইভের তথ্য অনুসারে, এটি সর্বশেষ বন্দুক সহিংসতা। ২০২৩ সালে ইতিমধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র-সম্পর্কিত সহিংসতায় এ পর্যন্ত চার হাজার ৯০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনের আইন প্রণেতাদেরকে বছরের পর বছর ধরে চলা অচলাবস্থা ভাঙতে ও বন্দুকের সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাপ দিচ্ছেন।