শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ক্যাপিটল হিলে হামলা/ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের পূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ

শনিবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির কংগ্রেশনাল কমিটি দীর্ঘ ১৮ মাসের তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট চারটি ফৌজদারি অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের সুপারিশ করা হয়। খবর বিবিসির।
 
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে জো বাইডেনের নাম ঘোষণার ঠিক আগ মুহূর্তে ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রাম্পের সম্পৃক্ততার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ। গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ওই কমিটির সব শেষ বৈঠকে এ ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা ও সমর্থকদের উস্কানি দেয়াসহ সুনির্দিষ্ট চারটি ফৌজদারি অপরাধের দায়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের সুপারিশ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার দফতরের কাছে ওই সুপারিশের পক্ষে সে দিন ভোট দেন কংগ্রেশনাল কমিটি সব সদস্য। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে কমিটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা থাকলেও, তা স্থগিত রাখা হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হয় বহুল প্রতীক্ষিত ওই তদন্ত প্রতিবেদন। ৮৪৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা চারটি অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রায় ১৮ মাসের তদন্ত শেষে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘ এ সময়ে কমিটির শুনানিতে এক হাজারেরও বেশি প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নেয়া হয়। এদের মধ্যে ক্যাপিটল হিলে হামলা চালানো কয়েকজন বিক্ষোভকারী ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কিছু সহযোগীও ছিলেন।

পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প কোনভাবেই নিজের পরাজয় মেনে নিতে পারছিলেন না।’

এমনকি নিবার্চনে ভোট কারচুপির চেষ্টাও করেন তার সমর্থকরা। মূলত তার উস্কানিতেই ক্যাপিটল হিলে সে দিন ন্যক্কারজনক হামলা হয় বলে কমিটির তদন্তে প্রমাণ মেলে।

এ দিকে, কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিষিদ্ধ হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সাথে, তার জেল ও জরিমানা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। তবে কমিটি প্রস্তাব করলেও, সাজা দেয়া না দেয়ার বিষয়টি পুরোটাই নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার দফতরের ওপর।