মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ক্লাস্টার বোমা ইস্যুতে বেকায়দায় যুক্তরাষ্ট্র

সোমবার, জুলাই ১০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: লম্বা অপেক্ষার পর অবশেষে ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু, এ ঘোষণায় অনেকটা বেকায়দায় আছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি মিত্র দেশের পক্ষ থেকেই এমন সিদ্ধান্তে অস্বস্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (৭ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করে যে, তারা ইউক্রেনে বিতর্কিত অস্ত্র ক্লাস্টার বোমা পাঠাচ্ছে। এমনকি খোদ জো বাইডেন এটিকে ‘খুব কঠিন সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। খবর বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও স্পেন। দেশগুলোর পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তারা এ অস্ত্র ব্যবহারের ঘোরবিরোধী।

যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সেই ১২৩ দেশের মধ্যে একটি, যারা ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্রের কনভেনশনে সই করেছে। এ অস্ত্র উৎপাদন বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি এগুলোর ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করে।’

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স সুনাকের চেয়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, ‘অস্ত্রগুলো নিরপরাধ লোকদের ব্যাপক ক্ষতি করে। এগুলো দীর্ঘ স্থায়ী প্রভাবও ফেলতে পারে।’

হিপকিন্স আরো বলেন, ‘ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের আপত্তি সম্পর্কে হোয়াইট হাউসকে জানানো হয়েছে।’

স্পেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্গারিটা রোবেলস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এ ধরনের অস্ত্র ও বোমা ইউক্রেনে পাঠানো যাবে না। চুক্তির বিষয়ে আমরা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

কানাডিয়ান সরকার বলছে, ‘শিশুদের ওপর বোমার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে তারা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ, এগুলো কখনো কখনো বহু বছর ধরে বিস্ফোরিত হয় না৷’

কানাডা আরো বলেছে, ‘ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের বিরুদ্ধে তারা।’ দেশটি ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্রের কনভেনশন সম্পূর্ণরূপে মেনে চলে।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও রাশিয়া ওই চুক্তিতে সই করেনি। তাই মস্কো ও কিয়েভ উভয়ই যুদ্ধের সময় ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে।

ক্লাস্টার বোমার বিশেষত্ব হল এতে একাধিক বিস্ফোরক বোম্বলেট থাকে। বছরের পর বছর এ বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকতে পারে। যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও পরে যে কোন সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এ কারণে বোমাটিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ কারণে পৃথিবীর ১২৩ দেশ ক্লাস্টার বোমা নিষিদ্ধ করেছে।