শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

খারাপ পরিস্থিতে শেখ হাসিনা কাউকে পাশে পাবে না

বুধবার, আগস্ট ২৪, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বিএনপি আন্দোলন শুরু করেছে মাত্র এতেই আওয়ামী লীগের নেতারা আবোল-তাবোল বকতে শুরু করেছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘এখন তারা নিজেদের লোককে নিজেরাই চিনে না বলে বক্তব্য দিচ্ছে। কিছু দিন পর বলবে, তারা শেখ হাসিনাকেও চিনে না। কারণ শেখ হাসিনা কয়েক দিন আগে বলেছেন, তার বাবার লাশ দুিই দিন পড়েছিল। কোন নেতাকর্মী তখন যান নি। কাউকে পান নি। ঠিক কথাই বলেছেন, সত্য স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সামনের খারাপ পরিস্থিতিতেও শেখ হাসিনা কাউকে পাশে পাবে না। এমনকি তার নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে চিনবেও না।

বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকালে সিটির বহদ্দার হাট মোড়ে চাঁন্দগাও থানা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন।

জ্বালানি তেল ও নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ অসহনীয় লোডশেডিং ও ভোলায় গুলিতে নূরে আলম ও আবদুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে এ মিছিলের আয়োজন করা হয়। বহদ্দার হাট হক মার্কেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পুরাতন চান্দগাও থানা হয়ে মৌলভী পুকুর পাড় হয়ে সিএন্ডবি রাস্তার মোড়ে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ‘কয়েক দিন আগে একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা স্বীকার করেছে, বিগত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়ী করতে সব চেষ্টায় করা হয়েছে। ২০১৮ সালে নির্বাচনেও দিনের ভোট রাতে নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম আট আসনের উপ নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে আবু সুফিয়ানের ভোট চুরি করেছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট জালিয়াতির বিষয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি। দেড় বছর হল এখনো কোন অগ্রগতি নেই। অবিলম্বে এ মামলার রায় দিতে হবে।’

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিশ্বাস যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা তলানীতে এসে ঠেকেছে। দেশে-বিদেশে কেউ তাদের বিশ্বাস করে না। তাদের কথা ও কাজে কোন মিল নাই। তাদের দূর্নীতি, লুটপাট, গণবিরোধী, অগণতান্ত্রীক কার্যকলাপের ফলে দেশ আজ মাফিয়া বাজিগরদের কবলে। মানুষের জীবন আজ বিপন্ন। এ অবস্থা চলতে পারে না।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার চিন্তা করছে সরকার। কিন্তু ইভিএমে নির্বাচন এ দেশের মানুষ মেনে নেবে না। ইভিএমে নির্বাচনে করতে দেব না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ও নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে।’

চাঁন্দগাও থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মো. আজমের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়ার পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহম্মেদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এসএম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দার মির্জা, আহবায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব আলম, নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর বিএনপি নেতা সৈয়দ সিহাব উদ্দিন আলম, মো. বখতেয়ার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, নুরুল আলম, আবদুল আজিজ, ইদ্রিছ মিয়া, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইলিয়াছ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হাসান লিটন, মাসুদুল কবির রানা, ফিরোজ খান, বিএনপি নেতা মো. ইস্কান্দার, নিজামুল ইসলাম, ইলিয়াছ শেকু, মসিউদ্দৌলাহ জাহাঙ্গীর, জসিম উদ্দিন, মো. আসলাম, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, নাছির উদ্দিন, আবুল বশর, আইয়ুব আলী, মাহবুবুল আলম, এসএম মোশারফ উদ্দিন, মো. জাবেদ, দিদারুল আলম হিরামন, জাফর আহম্মেদ, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ম. হামিদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, অঙ্গ সংগঠনের নেতা কামাল উদ্দিন, ইকবাল চৌধুরী, সালামত আলী, নুরুল আলম লিটন, মো. হোসেন, আকতার হোসেন, গুলজার হোসেন, মো. আলী শাকি, আরিফুল ইসলাম, মনছুর আলম, নুরুল আমিন, আবু বক্কর রাজু, সাইদুল ইসলাম, মোরশেদ কামাল, সাজিদ হাসান রনি, মো. শহিদুজ্জামান, আবদুর রহমান আলফাজ।