ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আইনের দৃষ্টিতে নির্বাচনের অযোগ্য।’ তিনি বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তার বাস ভবনে ব্রিফিংকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে বলেন, ‘খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, আর যার নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত বলে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, সেই তারেক রহমান তো দুর্নীতির বরপুত্র, দন্ডিত পলাতক আসামি।’
তিনি প্রশ্ন রেখে আরো বলেন, ‘রাজনীতি না করার শর্তে যিনি মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন, বিপদ দেখে এমন পলায়ন প্রিয় আর পলাতক আসামি কিভাবে বিএনপির নেতা হয়?’
আওয়ামী লীগ নাকি সন্ত্রাসী দল, বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশ-বিদেশে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালতেও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সংগঠন এবং জনগণের আস্থার ঠিকানা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।’
সন্ত্রাস তারাই করে, যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনকল্যাণে যাদের কোন ইতিবাচক কর্মসূচি থাকে না, তারাই সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রকে ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়- বিএনপিও তাই করছে।’
সরকার নাকি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না, বিএনপির নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই নির্বাচনকে ভয় পায়।’ শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা নিয়ে তাদের যত ভয়। বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্বিধাগ্রস্ত বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো খালি মাঠে গোল দিতে চায় না, আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণ সব দলের রাজনৈতিক অধিকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটি কোন সুযোগ নয়, এটি একটি অধিকার। কিন্তু বিএনপি পরাজয়ের ভীতিতে আক্রান্ত, তাই তারা নির্বাচনে আসে না।’
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির নেতাদের বিভিন্ন কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কমিশনকে তারা বিতর্কিত করতে চায় ও নির্বাচন ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যমূলক অপতৎপরতা চালায়।’
তিনি বিএনপির নেতাদের মনে করে দিয়ে বলেন, ‘তাদের সময় কমিশন গঠনে তারা কি কারো মতামত নিয়েছিল? কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ করেছিল?’
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সাদেক আলী ও আজিজ মার্কা আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘সোয়া এক কোটি ভূঁয়া ভোটার তালিকাবদ্ধ করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করেছিল কারা? দলীয় ক্যাডারদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিয়েছিল কারা? বিএনপি কি এসব ভুলে গেছে?’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে কোন মতামত নেয়া হয় নি, কোন প্রকার সংলাপ করা হয় নি। আজ্ঞাবহ কমিশন গঠনে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি।’