রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

খুলনায় শিক্ষার্থী-পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাত, চারজনের অবস্থা সংকটাপন্ন

শুক্রবার, আগস্ট ২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

খুলনা: খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে সাতজন গুলিবিদ্ধ (রাবার বুলেট ও শটগানের ছররা) হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।

শুক্রবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ (রাবার বুলেট ও শটগানের ছররা) অবস্থায় সাত জনসহ ১১ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত আরো অনেককে হাসপাতালে নেয়া হয়।

এ ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত পুলিশের গাড়ি চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর সিরাজুল ইসলাম, আবির, নীরব, নাবিল, মিজান, সৌরভ, আবদুল্লাহ, রায়েব সুলতানা রাইবা ও রুবিনা ইয়াসমিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের দেহে রাবার বুলেট ও শটগানের ছররা গুলি লেগেছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে আল শাহরিয়ার দাবি করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ অহেতুক টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এতে বহু আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সঠিক সংখ্যা পরে জানানো যাবে।

সিটির সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা থানার গেটে কিছু ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছিল। এতে কেউ আহত হয়নি।’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান, শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল। কিন্তু, তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।