বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

খেলা হবে; তবে পুলিশ বাদ দিয়ে আসুন

শনিবার, আগস্ট ৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ‘সরকারের জনসমর্থন তলানীতে। মাইকিং করেও ভোট কেন্দ্রে আনতে পারছে না। যা আসছে তাও আবার দশ ভাগের কম। সরকারের পক্ষে এর চেয়ে বেশি জনসমর্থন নেই। আরো আছে চাঁদাবাজ, গুন্ডা ও মাস্তান। এর মাধ্যমে সরকার পুনরায় ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে আছে। সরকার বিরোধী দলের কর্মসূচির দিন শান্তি সমাবেশের নামে সমাবেশ ডেকে অশান্তি সৃষ্টি করে।’

শনিবার (৫ আগস্ট) বিকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে সরকারি দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল করীম হত্যা, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউনুছ আহমাদ এখন থেকে শান্তি সমাবেশের পরিবর্তে অশান্তি সমাবেশ নামকরনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এতে মানুষ ধোকা থেকে বাঁচতে পারবে। গেল ২৮ জুলাই বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে অনুষ্ঠিত যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রেজাউল করিমকে নির্মমভাবে খুন করে শান্তি সমাবেশের আসল চরিত্র প্রকাশ করেছে।’

তিনি অবিলম্বে রেজাউলের খুনিদের গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘সরকার আলেম-হাফেজদের খুনিদের আড়াল করলে এই সরকার খুনি সরকার হিসেবে পরিগণিত হবে।’

সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল হুদা ফয়েজী, যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা নূরুল ইসলাম নাঈম, শহিদুল ইসলাম, মুরাদ হোসেন, মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মুফতী মাছউদুর রহমান, মুফতী আরমান হুসাইন, যুবনেতা হাফিজুল হক ফাইজ, ছাত্রনেতা ইউসুফ পিয়াস, হাবিবুল্লাহ মেসবাহ, আব্দুর রহমান।

সমাবেশ পরিচালনা করেন মুফতী ফরিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ।

সমাবেশে ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘এই সরকারের আমলে অনেক আলেম-হাফেজ খুন হয়েছে। অনেক আলেম এখনো কারানির্যাতিত অবস্থায় আছে।’

তিনি অবিলম্বে কারাবন্দি আলেমসহ বিরোধী নেতাদের মুক্তি দাবি করেন।

ইউনুছ আমাদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষ অসহায় জীবন যাপন করছে। অনেক শ্রমিক মিল-কারখানা বন্ধে হাহাকার করছে। অনেক কৃষক কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম না পেয়ে কান্না করছে।’

তিনি বলেন, ‘জালিম ও ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন অংশ নেবে না এবং দেশের অধিকাংশ নিবন্ধিত দলও অংশ নেবে না। কাজেই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’

ইউনুছ আমাদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা বক্তব্যে বলছেন, খেলা হবে, আমরাও বলছি খেলা হবে, তবে পুলিশ বাদ দিয়ে আসুন, খেলা হবে।’

শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা শুধু একজন নিরীহ হাফেজকে হত্যাই করেনি; একইসাথে একটি পরিবারের হাল ধরার একমাত্র অবলম্বনকে শেষ করে দিয়েছে! একজন কুরআনে হাফেজ ও মেধাবী ছাত্রকে নির্মমভাবে হত্যায় গোটা জাতি স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ। এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আসল চরিত্র প্রকাশ পেয়েছে।’

সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর থেকে পল্টন মোড়, বিজয়নগর গিয়ে শেষ হয়। এ সময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলে।