শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

খ্রিস্টানদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ আজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: আজ রোববার (২৫ ডিসেম্বর) খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ডিসেম্বর বেথলেহেমে জন্ম নেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টি-কর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরাও রোববার (২৫ ডিসেম্বর) যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্যদিয়ে ‘বড়দিন’ উদযাপন করবেন। এ উপলক্ষে ঢাকাসহ পুরো দেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন-আঙ্গিকে। এছাড়াও শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা ও তারকা-হেটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোক সজ্জার। এ দিকে, বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ সকলের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিষ্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়।’

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আবহমানকাল থেকে এ দেশে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে।’

প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, ‘সব শ্রেণি-পেশা, সম্প্রদায়ের জনগণের উন্নয়নই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে তার সরকার সব সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর।’

বড়দিন উপলক্ষে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সরকারি ছুটি । অপর দিকে, দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। এছাড়া দেশের অনেক অঞ্চলে আয়োজন করা হযেছে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বড়দিনকে বেছে নেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে অনেকেই ঢাকা ছেড়ে গিয়েছেন গ্রামের বাড়িতে।

ঢাকার তারকা হোটেলগুলোতে আরোক সজ্জার পাশাপাশি হোটেলের ভিতরে কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও শান্তাক্লজ। বড়দিনের প্রক্কালে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হবে। আর রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে বড়দিনের প্রার্থনা।