রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

শিরোনাম

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল রাজপথ ছাড়বে না

রবিবার, জানুয়ারী ২১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল রাজপথ ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কোন ব্যবস্থা থাকবে না।’

শনিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অনুষ্ঠানে আবদুল মঈন খান এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বন্দুকের জোরে দেশ শাসন করছে।’

মঈন খান বলেন, ‘এখন শুধু আমরাই বলছি না, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রহসনের নির্বাচন নিয়ে পুরো পৃথিবীর মিডিয়ার দিকে তাকান, নানা দেশের বিবৃতির দিকে তাকান। প্রহসনের নির্বাচন নিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক বিরোধী দলগুলো গেল কয়েক বছর ধরে যা বলে আসছি, তারাও তারই প্রতিধ্বনি করেছে।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘দেশে-বিদেশে এটা প্রতিষ্ঠিত যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন মৃত।’

তিনি বলেন, ‘দলের একমাত্র লক্ষ্য বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। ইনশাল্লাহ, আমাদের গণতন্ত্রের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’

প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে নাগরিক ঐক্যের গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে দেশের প্রতিটি মানুষ যোগ দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতারা। এছাড়া তারা বর্তমান সরকারকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

নাগরিক ঐক্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্রের পক্ষে ও ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করে।

আয়োজকরা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিরোধী দলগুলোর দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণের অংশ হিসেবে ঢাকা সিটির নানা স্থানে, জেলা ও উপজেলা এবং আন্তর্জাতিকভাবে সর্বস্তরের জনগণের সই সংগ্রহ করা হবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য নয় বলেই ৭ জানুয়ারি একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করেছে।এ জন্য আমরা এই সই সংগ্রহ কর্মসূচির আয়োজন করেছি। আমরা শুধু বাংলাদেশের দশ কোটি ভোটার নয়, দেশের ১৭ থেকে ১৮ কোটি মানুষের কাছেও পৌঁছানোর চেষ্টা করব। গণতন্ত্রের জন্য আমাদের কর্মসূচি অফলাইন ও অনলাইন উভয় ক্ষেত্রেই অব্যাহত থাকবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করে গঠিত সরকারের নিন্দা জানাতে ও গণতন্ত্রের পক্ষে পুরো দেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন তারা।’

মান্না বলেন, ‘গণস্বাক্ষর কর্মসূচির পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলের সাথে তাদের দল রাজপথে একযোগে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে। সই সংগ্রহ করতে গিয়ে আমরা রাস্তা ছেড়েছি, এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই।’

তিনি বলেন, ‘রাজপথের আন্দোলন জোরদার করতে আমরা সই সংগ্রহ করছি। আমরা এমন একটি সংগ্রাম গড়ে তোলার চেষ্টা করছি; যাতে দখলদারকে মাথা নত করতে বাধ্য করা যায়।’