ডেস্ক রিপোর্ট: গ্যাসের চুলায় রান্নার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের মধ্যে বাড়ছে হাঁপানি রোগ বাড়ছে। হাঁপানি আক্রান্ত প্রতি আট শিশুর একজন আক্রান্ত হচ্ছে গ্যাস স্টোভ নির্গমনের কারণে; যা শতকরা হিসেবে ১২ দশমিক সাত শতাংশ। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব অ্যানভার্নমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক হেলথ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। পাশাপাশি আমেরিকান হাউজিং সার্ভেতেও একই পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিয়মিত গ্যাসের চুলায় রান্নার কারণে হাঁপানি আক্রান্ত সর্বোচ্চ শিশু রোগী পাওয়া গেছে ইলিয়ন অঙ্গরাজ্যে ২১ দশমিক এক শতাংশ। ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০ দশমিক এক শতাংশ। নিউইয়র্কে ১৮ দশমিক আট শতাংশ। এ ছাড়া, নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলের প্রায় ৬০ হাজার শিশু হাঁপানি রোগে ভুগছে।
হেলথ ডিপার্টমেন্টের ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটির প্রায় ৭৩ শতাংশ বাড়িতে গ্যাসের চুলায় রান্না হয়। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩৫ শতাংশ বাড়িতে গ্যাসের চুলা রয়েছে। এর অধ্যে নিউইয়র্কের ৮৪ শতাংশ স্বল্প আয়ের পরিবারের রান্না হয় ফসিল ফুয়েলে; পুরো যুক্তরাষ্ট্রে যা প্রায় ৫৪ শতাংশ।
গবেষণা বলছে, ‘বাসা থেকে গ্যাসের চুলা অপসারণ করা গেলে হাঁপানি আক্রান্ত শিশুর রোগীর সংখ্যার হার আরো কমিয়ে আনা সম্ভব। এ ছাড়া, হাঁপানি আক্রান্তের হার কমিয়ে আনতে গ্যাস স্টোভ ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। পাশাপাশি রিনিউয়েবল পাওয়ার স্টোভ ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এসব সম্ভব না হলে শিশুদের গ্যাস স্টোভ থেকে দূরে রাখতে পরামর্শ গবেষকদের।’
এ দিকে, গবেষণা প্রতিবেদনে বিস্মিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য অ্যানার্জি জাস্টিস ল অ্যান্ড পলিসির কর্মকর্তারা। যদিও এমন প্রতিবেদন নতুন নয়। ২০১৯ সালের এক রোডম্যাপে ক্লাইমেট লিডারশিপ অ্যান্ড কম্যুনিটি প্রটেকশন অ্যাক্ট একই আশংকা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রকাশিত প্রতিবেদনের পর অনেকে রান্না ও হিটিংয়ের জন্য গ্যাস ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। ব্যবহার বেড়েছে সোলার পাওয়ারের (সৌর বিদ্যুৎ)।
গেল বছর নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে পাশ হওয়া একটি বিলে বলা হয়েছে, ‘২০২৭ সালের মধ্যে নির্মিত সব নতুন ভবনে কোন গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে না। গ্যাসের পরিবর্তে সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ব্যবস্থা করা হবে।’
তবে নিউইয়র্ক রাজ্য এ ধরনের কোন বিল এখনো পাশ করতে পারেনি। তবে আশা করা হচ্ছে, খুব শিগিগির এমন একটি বিল এ বছর আলবেনিতে পাশ হবে।