বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করলে করদাতার সংখ্যাও বাড়বে

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ‘বর্তমান সরকারের শাসনামলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্রেতা ও ভোক্তার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গ্রামের মানুষের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করে তাই গ্রামেও আয়কর জাল সম্প্রসারণ করতে হবে।’

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়কর বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরো বলেন, ‘মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে যখন হত্যা করা হয়, তখন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২৭৭ মার্কিন ডলার। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৩২৯ ডলার। ২১ বছরে মাথাপিছু আয় এর পার্থক্য মাত্র ৫২ মার্কিন ডলার। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতা নেন, তখন দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৭০০ মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা দুই হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নত হয়েছে। মাত্র ১৪ বছরে দুই হাজার ১২৪ ডলারের মাথাপিছু আয়ের পার্থক্যটা অভূতপূর্ব ও অসাধারণ।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ আমাদের ৬৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী যুবক, যারা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।’

এ ছাড়া, এলডিসি থেকে উত্তরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে সমদৃত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে।’ কর প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে সবাইকে অংশ গ্রহণ করারও আহবান জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ যাতে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে আয়কর দিতে পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে। সে জন্য আয়কর ব্যবস্থায় সমন্বিত ডিজিটালাইজেশন ব্যবস্থা চালু হয়েছে এবং তা ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন, যেখানে মাথাপিছু আয় সাড়ে বার হাজার ডলার অর্জনের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা সবাইকে একই ছাতার নীচে আনতে পেরেছেন বলেই মাত্র ১৪ বছরে দুই হাজার ১২৪ মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয় বেড়েছে আমাদের।’

তিনি বলেন, ‘আইএমএফ পাকিস্তানকে আবেদন করার দুই বছর পর এখনো ঋন দেয় নি। অথচ বাংলাদেশকে ছয় মাসে ঋণ অনুমোদন দিয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা উৎপাদনের মাধ্যমে সম্পদ তৈরি করে। তারা যেহেতু কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখে, তাই আয়কর ব্যবস্থা ব্যবসায়ী বান্ধব হতে হবে।’

এ সময় তিনি নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আয়কর ব্যবস্থায় পরিবর্তন,পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মতামত সংযুক্ত করলে তা আয়কর ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়োজনে ‘আয়কর ব্যবস্থার ক্রম বিকাশ ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আয়করের ভূমিকা’ ও ‘আয়কর ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।