রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রামে কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় তিনজন নিহত

মঙ্গলবার, জুলাই ১৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো বহু। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সিটির ষোলশহর থেকে মুরাদপুর এলাকার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

ব্যাপারটি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘নিহতদের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র আকরাম (২৪) ও পথচারী ফারুক (৩৫)। এছাড়া, তাৎক্ষণিকভাবে আর একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

ফারুকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলেও আকরামের শরীরে দৃশ্যমান কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি জানিয়ে কমিশনার বলেন, ‘ফলে, তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’

এক প্রশ্নের উত্তরে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ষোলশহরের দুই নম্বর গেট ও মুরাদপুরসহ সিটির একাধিক স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। ফলে, ঠিক কোন স্থানে মৃত্যুগুলো হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।’

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীনও গণ মাধ্যমে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

এ দিকে, দ্বিতীয় দিনের মত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল চারটার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুরো ষোলশহর দুই নম্বর গেইট থেকে মুরাপুর পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।

এর পূর্বে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়সহ (চবি) বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিকাল তিনটা থেকে ষোলশহর স্টেশনে জড়ো হওয়া শুরু করে। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন।

অপর দিকে, চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি অংশ মিছিল নিয়ে দুই নম্বর গেট থেকে মুরাদপুরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরপর বিকাল চারটার দিকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এরইমধ্যে থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে; কারো কারো হাতে অস্ত্রও দেখা যায়।

তবে, ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের অবস্থান চোখে পড়েনি। সিটির কেজিডিসিএল কার্যালয়ের সামনে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল পাঁছটার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মুরাদপুর-ষোলশহরে সংঘর্ষ চলছে।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, ‘তারা মুরাদপুর হয়ে অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে ষোলশহর এলাকায় যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেন। এরপর তারা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা হামলা চালান।’

এ সময় তাদের দুইজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা।