শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রামে দেখানো হল ‘ওরা সাতজন’

শনিবার, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম সিটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দেখানো (স্কিনিং) হল মুক্তিযুদ্ধের সময়ের রক্তক্ষয়ী এক অপারেশনের চলচ্চিত্র ‘ওরা সাতজন’। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে সিটির রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউতে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন খিজির হায়াত খান। ভিন্ন ভিন্ন পেশা থেকে আসা সাত বীর মুক্তিযোদ্ধার বীরত্ব গাঁথার ছবি ‘ওরা সাতজন’।

ভারতের এক নারী চিকিৎসক যিনি জানবাজি রেখে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়ে আসছিলেন তাকে উদ্ধার করে আনার চলচ্চিত্র ‘ওরা সাতজন’।

প্রদর্শনীতে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজীবী, নাট্যকর্মী, কবি, সাহিত্যিকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ‘ওরা সাতজন’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক খিজির হায়াত খান। এ সময় চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করা অন্য শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।

‘ওরা সাতজন’ চলচ্চিত্রে ভারতীয় চিকিৎসক অপর্ণা সেনের চরিত্রে জাকিয়া বারী মম, মসজিদের মুয়াজ্জিন সোলায়মান কাজীর চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ, মেজর লুৎফরের চরিত্রে খিজির হায়াত খান, সুমিতের চরিত্রে নাফিস আহমেদ, ডাক্তারের চরিত্রে ইন্তেখাব দিনার, শাফি চরিত্রে সাইফ খান, মুক্তাদির চরিত্রে শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব, নজরুল চরিত্রে খালিদ মাহবুব তুর্য অভিনয় করেছেন।

রাজাকার চেয়ারম্যান চরিত্রে জয়রাজ, মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার চরিত্রে শিবা শানু, স্নিগ্ধা চরিত্রে তাসফি ও পাকিস্তানি মেজরের চরিত্রে হামিদুর রহমান অভিনয় করেছেন। সাতজন সাত পেশা থেকে আসা মানুষ। দুঃসাহসিক অভিযানের মাধ্যমে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে ‘ওরা সাতজন’ কাজ করেন।

‘ওরা সাত জন’ শুটিং হয়েছিল সিলেটের চা বাগান ও মনোরম লোকেশনে। চলচ্চিত্রটি রিলিজ হয় গেল ৩ মার্চ।

পরিচালক খিজির হায়াত খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে অংশ নিয়েছেন। আমরা এই চলচ্চিত্রে সাতজনের দুঃসাহসিক কিছু অপারেশনের কথা তুলে ধরেছি। ১৯৭১ সালে কীভাবে পাকিস্তানিরা নির্যাতন করেছিল, তাদের এ দেশের রাজাকাররা কীভাবে সহযোগিতা করেছিল, তা তুলে ধরা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের টানে সাত মুক্তিযোদ্ধা এক হয়েছিল একটি অপারেশনে। এই সাতজনের একজন মসজিদের মুয়াজ্জিন, একজন ডাক্তার, একজন পুলিশ, দুজন আর্মি, একজন কুস্তিগির আর একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেক্টর পাঁচের অধীনে মেজর লুৎফরের নেতৃত্বে এক সফল অপারেশন শেষে এই সাতজনকে দায়িত্ব দেয়া হয় একজন ভারতীয় নারী চিকিৎসককে উদ্ধার করে আনার। দেশ মাতৃকার তরে যুদ্ধের সময়ে কমান্ডারের নির্দেশ মানতে গিয়ে এই সাতজন জড়িয়ে যায় এক রক্তক্ষয়ী অপারেশনে।’