সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রামে পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচসহ সকল সবজির মূল্য বাড়তি

শুক্রবার, জুন ২১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: ঈদুল আজহার ছুটি শেষে বাড়ি থেকে এখনো চট্টগ্রাম সিটিতে ফেরেননি বহু মানুষ। ফলে, অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। বাজারে ক্রেতাও কম। তবুও চড়া ব্রয়লার মুরগি, ডিম, আলু, কাঁচামরিচ, শসা, টমেটোসহ কয়েকটি নিত্য পণ্যের মূল্য। ব্যবসায়ীদের দাবি, ঈদুল আজহার ছুটির কারণে কৃষকরা খেত থেকে সবজি তুলছেন না। ব্রয়লারের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কম। সেজন্য পণ্যগুলোর মূল্য বাড়তি। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে মূল্য কমে আসবে।

শুক্রবার (২১ জুন) সিটির রেয়াজুদ্দিন বাজার, চকবাজার, বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। তবে, এসব বাজারে সবজি ও মুরগিসহ অন্যান্য পণ্যের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ দেখা গেছে। ক্রেতাদের আনাগোনাও কম। যে কয়টি খুচরা দোকান খোলা রয়েছে, সেগুলোতেও পণ্যের সরবরাহ কম দেখা গেছে।

ঈদুল আজহার পর সাধারণত বাজারে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কম থাকে। মূল্যও থাকে পড়তির দিকে। কিন্তু, এবার বাজারের চিত্র পুরোপুরি আলাদা। চট্টগ্রাম সিটির কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকায়। কোথাও ১৯৫ টাকাও রাখছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া মানভেদে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩৪০ টাকায়। গেল সপ্তাহেও মুরগির এ দর ছিল।

ডিমের বাজারে দেখা গেছে বিশৃঙ্খলা। বাজার আর মহল্লায় বড় ব্যবধান থাকলেও বড় বাজারে ফার্মের বাদামি রঙের এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। কিন্তু, মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা দরে। কোথাও এর চেয়েও অধিক।

জামাল খানের খুচরা বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঈদুল আজহার পূর্বে পাইকারি বাজারে ডিমের দর বেশি ছিল। এ ডিমগুলো সে সময় কিনে রাখা। তাই, লোকসান দিয়ে বিক্রি করা যাবে না। নতুন করে কম মূল্যের ডিম এলে সে অনুযায়ী বিক্রি হবে।’

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সিটির বাজারে কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা দরে। এছাড়া, আলু ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৯০ টাকা, বেগুন ১০০-১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, শসা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ পূর্বেও কাঁকরোল বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা কেজি; সেটি বর্তমানে ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে শিং মাছ কেজি প্রতি ৫০০-৬০০ টাকা, রুই মাছ কেজিপ্রতি ২৮০-৪৫০ টাকা, পাবদা মাছের কেজি ৬০০-৫০০ টাকা, ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি ৮০০-১৮০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৮০-২২০ টাকা, সরপুঁটি মাছ ১৬০-২০০ টাকা ও দেশি পুঁটি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাজীর দেউড়ি বাজারে সবজি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, ঈদুল আজহার পর শসা, মরিচ, টমেটো বেশি বেচাকেনা হয়। কিন্তু, পাইকারি বাজারে এগুলো এখন কম আসছে। এ জন্য দরটা একটু বেশি।

এখনো অস্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে আলুর বাজার। ছোট-বড় সব বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। তবে, পাড়ামহল্লার দোকানে কেউ কেউ কেজিতে আরো পাঁচ টাকা বেশি রাখছেন।

বাজারে দেশি রসুনের কেজি ২০০-২১০ ও আমদানি করা রসুনের কেজি ২৩০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, দেশি আদার কেজি ২৫০-২৬০ ও আমদানি করা আদার কেজি ২৮০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।