রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন নিয়মিত চালু রাখার দাবিতে স্মারকলিপি

রবিবার, জুন ২৩, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি স্থায়ী ট্রেনে রূপান্তরিত করে নিয়মিত চালু রাখার দাবিতে রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রোববার (২৩ জুন) দুপুরের বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সংগঠনের নেতারা এ স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রেলসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে ১৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে নয়া রেলপথ নির্মাণ করা হয়। রেল কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র রাজধানীবাসীকে সুবিধা দেয়ার মানসে ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী দুইটি ট্রেন সার্ভিস চালু করলেও চট্টগ্রাম, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জনগণ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এতে করে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবির মুখে গেল ঈদুল ফিতরের সময়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে কক্সবাজার স্পেশাল নামে একটি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে।’

এতে আরো বলা হয়, ‘সড়ক পথে নৈরাজ্য, সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের হাত থেকে মুক্তি পেতে এ অঞ্চলের মানুষ যখন সীমিত সুবিধা এ ট্রেনটির প্রতি ঝুঁকছিলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই ট্রেনটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে যাত্রী বান্ধব বাহনে পরিণত হয়েছে। এ জন্য ঈদুল ফিতরের পর নির্ধারিত সময়ে ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় রেল প্রশাসনের মাঠ জরিপ প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রেনটি চলাচলের সময়সীমা দুই দফা বাড়ানো হয়েছে। এমন সুযোগ লুফে নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রীরা যখন এ ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করছিলেন, তখন বাস মালিকেরা একে একে সব পরিবহনে যাত্রী সংকট দেখা দিলে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রী প্রতি বাস ভাড়া ১০০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়। তারপরেও বাসে যাত্রী না পাওয়া যাচ্ছিল না। এমন সময়ে অদৃশ্য কারণে এ ট্রেনটি বন্ধ করে দেয়া হয়।’

স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, ‘দেশের আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিসগুলোর মধ্য অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় ঢাকা-কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রী অকুপেন্সি বেশি ও আয়ও বেশি।
এ ছাড়াও, ১৮ হাজার কোটি টাকা খরচে নির্মিত এ রেলপথে ঢাকা থেকে দুইটি রেল চালালে বিনিয়োগ উঠবে না। এতে রেল কর্তৃপক্ষের লোকসানের বোঝা দিন দিন বাড়বে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেলপথে দুইটি আন্তঃনগর ট্রেনে চট্টগ্রামের যাত্রীদের আন্দোলনের মুখে মাত্র একটি এসি ও একটি নন এসি দুইটি কোচ বরাদ্দ রাখা হলেও এতে যাত্রীদের চাহিদার শিকিভাগও পূরণ হচ্ছে না। এতে এ পথের যাত্রীদের ক্ষোভ দিন দিন বেড়েই চলেছে।’

তাই, ঈদুল আযহা উপলক্ষে ফের চালু হওয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি এই রুটে নিয়মিত ট্রেনে পরিণত করে যাত্রীসেবা দেয়ার দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।

স্মারকলিপি গ্রহণকালে সরদার শাহাদাত আলী ঈদ স্পেশাল হিসেবে চালু করা এ ট্রেনটি বন্ধ হবে না বলে আশ্বাস দেন এবং ট্রেনটিকে নিয়মিত চলাচলের ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এসএম সালাহ উদ্দিন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাওহিদুল হক লিটন, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. আওলাদ হোসেন, মনজুর হোসেন।